গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘের সাহায্য বন্ধ
গাজা পুনর্গঠনের বিষয়ে জাতিসংঘের সহযোগিতা তৎপরতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারাত্মক বিপদে পড়েছেন। তাদের বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘর সংস্কারের প্রক্রিয়া থমকে গেছে। এর প্রতিবাদে গাজায় জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গৃহহীন ফিলিস্তিনিরা। গাজার পুনর্গঠন আন্দোলনের মুখপাত্র আবু সালিমা বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর যে দুর্দশা চাপিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগিতা বন্ধের মাধ্যমে ওই দুর্দশাকেই আরো বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী বিদেশিরা সাহায্য না দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী ও ত্রাণ সংস্থা ঘোষণা করেছে। গত গ্রীষ্মের ইসরাইলি হামলায় ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ঘরহারা ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতার জন্য সংস্থাটির প্রায় ১২০ কোটি ডলার প্রয়োজন। কিন্তু বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ১৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে যা অপ্রত্যাশিত। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র আদনান আবু হাসানা এ সম্পর্কে বলেছেন, গাজাবাসীদের হতাশ হওয়ার কারণ আছে। আসলে গাজা পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন দেশ কায়রো সম্মেলনে পাঁচশ’ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল। কিন্তু তারা সে অর্থ দেয়নি। গত কয়েক দিনেই গাজায় প্রচণ্ড ঠান্ডায় পাঁচটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ঘর-বাড়ি না থাকার কারণে এ ধরনের মৃত্যু বেশি ঘটছে। ২০১৪ সালে গাজার ওপর ইসরাইলের ৫০ দিনের আগ্রাসনে ৬৯ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার বাড়ি পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। গত বছরের ৮ জুলাই ইসরাইল যে আগ্রাসন শুরু করে, তা ৫০ দিন ধরে চলে। এতে দুই হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়।