ঘরেই তৈরি করে নিন কেমিক্যালমুক্ত প্রাকৃতিক শ্যাম্পু
রকমারি ডেস্ক:
নিজের চুলের দিকে তাকিয়ে দেখুন তো একটিবার। নিয়মিত চুলের যতœ নেয়ার পরও দিনকে দিন চুল হারাচ্ছে তার আপন উজ্জ্বলতা, সেই সাথে চুল পড়ার সমস্যা তো রয়েছেই। এই সমস্যার পেছনে রয়েছে আপনার ব্যবহৃত সব ধরণের হেয়ার প্রোডাক্টে রয়েছে মারাÍক ক্ষতিকর কেমিক্যাল। আপনি যদি পার্লারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করান বা বাসায় শ্যাম্পু ব্যবহার করুন তাতেও পাবেন কেমিক্যাল, যা হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে চুলে উজ্জ্বলতা দেবে কিন্তু সেই সাথে চুলের ক্ষতিও করবে। কি করবেন ভাবছেন? ঘরে বানিয়ে নিন দারুণ কার্যকরী সম্পূর্ণ কেমিক্যাল মুক্ত প্রাকৃতিক শ্যাম্পু। মাত্র ১ মাসেই এই শ্যাম্পুর ফলাফল নজরে আসবে। কিন্তু প্রাকৃতিক শ্যাম্পুর এই পরীক্ষাটি প্রায় ৬ মাস চালিয়ে দেখতে পাওয়া যায় চুলের আমূল পরিবর্তন এবং অসাধারণ উপকারিতা-
– চুল অনেক বেশি সফট ও সিল্কি হয়
– মাথার ত্বকের নানা সমস্যা দূর হয়
– চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে
– একবার ব্যবহারের ৩/৪ দিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করলেও চুলের উজ্জ্বলতা থাকে অটুট।
চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক শ্যাম্পুটি কীভাবে তৈরি করবেন-
যা যা লাগবে
– ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা (লম্বা চুলের জন্য)
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা (মাঝারি থেকে ছোট চুলের জন্য)
– ৫০০ মিলি পানি
– ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার (লম্বা চুলের জন্য)
১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার (মাঝারি থেকে ছোট চুলের জন্য)
– ১ কাপ পানি।
পদ্ধতি ও ব্যবহার বিধি
– দুটি আলাদা বোতল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিন।
– একটি বোতলে বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে নিন ভালো করে। লক্ষ্য রাখবেন বেকিং সোডা যেনো পানিতে পুরোপুরি মিশে যায়।
– অপর বোতলে ভিনেগার ও পানি ভালো করে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন।
– প্রথমে গোসলের সময় চুল ভিজিয়ে নিন ভালো করে করে। এরপর বেকিং সোডার মিশ্রণ চুলে দিন এবং ভালো করে চুল ম্যাসেজ করুন। ভালো করে ম্যাসেজ করা হলে চুল ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
– এরপর ভিনেগারের মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর চুল পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, খুব দ্রুতই দেখতে পাবেন ফলাফল।
সতর্কতা:
* একেকজনের মাথার ত্বক একেক ধরণের। সবার চুলে এই শ্যাম্পুটি স্যুট নাও করতে পারে। ২-৩ বার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এই শ্যাম্পুটি আপনার জন্য উপযোগী কিনা। সেদিকে সতর্ক থাকুন।