Connect with us

চট্রগ্রাম

চট্টগ্রামে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে পুরাতন মামলাগুলো নিষ্পত্তির তাগিদ

Avatar photo

Published

on

DSC_7320

চট্টগ্রাম আদালত ভবনে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের ৪র্থ তলায় জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে মামলারুজু ও মামলা নিষ্পত্তি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ স ম শহীদুল­াহ কায়সার, সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. হাবিবুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-এ-ইলাহী, মো. শহীদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মোসাদ্দেক মিনহাজ, বেলাল উদ্দিন, ফারহানা ইয়াসমিন, মো. মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান আদালতে বিচারাধীন পুরাতন মামলা সমূহের দ্রুত নিষ্পত্তিসহ আইন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্নকরণ, প্রতিবেদন দাখিল, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিতকরণ এবং গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদ প্রদান করেন। একই সাথে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান সম্পর্কে আলোকপাত করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলায় সাক্ষীদের প্রতি ইস্যুকৃত প্রসেস সমূহ সিআর.আর.ও-এর রুল ৬৪-৬৯ এর বিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে জারিপূর্বক আদালতে প্রেরণের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং সাক্ষীদের প্রতি উক্ত প্রসেস সমূহ প্রাপ্তির পর সিআর.আর.ও-এর রুল ৬৪ এর বিধানমতে নির্ধারিত রেজিস্টারে তা লিপিবদ্ধের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সিআর.পি.সি- এর ১৭৩(১)(বি) ধারার ও পিআরবি-এর ২৭২ ও ২৭৮ প্রবিধানের বিধান মোতাবেক তদন্ত শেষে নির্ধারিত ফরমে সংবাদদাতাকে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করে তা পুলিশ রিপোর্টের সাথে আদালতে দাখিলের জন্য উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি আরো বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুকে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট উপস্থিত না করে পুলিশ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। তাছাড়া আইনের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া শিশুদেরকে কোনভাবেই জেল হাজতে প্রেরণ না করে শিশু আইন অনুযায়ী নিরাপদ স্থান যথা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বা কিশোর সংশোধানাগারে প্রেরণ করতে হবে। শিশুকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে থানায় মামলা রুজু করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে মর্মে উলে­খ করে শিশু আইনের ৪৪ ধারার বিধান মোতাবেক শিশুর বয়স প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে যতদূর সম্ভব মামলায় তার সঠিক বয়স উলে­খ করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন। শিশু আইনের ৪৮ ধারার বিধান মোতাবেক আইনের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া শিশুর ক্ষেত্রে বিকল্প পন্থা ব্যবহারের প্রতি পুলিশদেরকে উৎসাহিত করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
ইতিপূর্বে চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিদের নামের পাশে আনীত অভিযোগ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের সুনির্দিষ্ট ধারা পৃথক পৃথক ভাবে উলে­খের কথা বলা হলেও তা এখনও পরিপূর্ণরুপে পালিত হচ্ছেনা। এখনও পুলিশ রিপোর্টের সাথে দাখিলী জিজ্ঞাসিত ব্যক্তিদের জবানবন্দি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজ হাতে লিপিবদ্ধ না করে অন্য লেখক দিয়ে লেখেন মর্মে উলে­খ করে তা পরিহারেরর জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে কড়া নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। চার্জশিট প্রদানকালে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে ক্রোকি পরোয়ানা ইস্যুর নিমিত্ত পিআরবি-এর ২৭২ প্রবিধানের বিধান মোতাবেক পলাতক তার স¤পত্তির তালিকা অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করতে হবে। সিআর.পি.সি-এর ২০২ ধারার বিধান মোতাবেক আদালত কর্তৃক তদন্তের জন্য আদিষ্ট হওয়ার দীর্ঘদিন পরও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রতিবেদন দাখিল না করার বিষয়টি উলে­খ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অথবা ক্ষেত্র বিশেষে তদন্তের সময় বর্ধিত করণের প্রার্থনা আদালতে দাখিল করতে হবে। পুলিশ সাক্ষীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশদেরকে মামলার কেইস ডায়েরী (সি.ডি) পাঠ করে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। কিছু কিছু মামলায় আসামি ঘটনার পূর্ব হতে জেল খানায় থাকাবস্থায় তাকে উক্ত মামলা সমূহে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে সোপর্দ করেন। আসামি জেল খানায় থাকাবস্থায় ঘটনা সংঘটিত হলে তিনি নিশ্চয়ই ঐ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকবেন না। এরূপ ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অধিকতর দায়িত্বশীল ও যতœবান হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মামলায় রিমান্ড শুনানির সময় কেইস ডায়েরী (সি.ডি) পাওয়া যায়না এবং বারবার তাগিদ দেওয়া সত্তে¡ও আদালত সি.ডি উপস্থাপিত হচ্ছে না। অথচ রিমান্ড শুনানির সময় সি.ডি উপস্থাপনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ইদানিং কিছু কিছু মামলায় দেখা যাচ্ছে যে, চার্জশিটে উলে­খিত আসামির নাম-ঠিকানা প্রসেস তামিলকালে সঠিক পাওয়া যাচ্ছেনা। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ব্যক্তির পিতার নামসহ ঠিকানা পরিবর্তন করার দরখাস্ত দাখিল করতে দেখা যাচ্ছে। এটা মোটেও কাম্য নয় উলে­খে তদন্তকালীন সময়ে আসামির সঠিক নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করার জন্য তিনি সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেন।
উলে­খ্য যে, বর্তমান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান চট্টগ্রামে যোগদানের পর থেকে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, আইনের শাসন বাস্তবায়ন, মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি ২০১৬ সালের ২৭শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় পুলিশ ফাইলের গ্রেফতারি পরোয়ানা ৮৬১৬ টি, ক্রোকি পরোয়ানা ৪১৬ টি এবং বিভিন্ন আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা ৮১৮৯ ও ক্রোকি পরোয়ানা ৮০১ টি ও সাজা পরোয়ানা ১৬৫ টি বিনাজারি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া অত্র ম্যাজিস্ট্রেসিতে দ্রুত সমনজারির ব্যবস্থা, নকল খানায় তিন দিনের মধ্যে নকল সরবরাহের ব্যবস্থা, নতুন রেকর্ডরুম স্থাপনসহ রেকর্ড রুমে লোকেশন ম্যাপ সংযোজন, নিষ্পত্তিকৃত নথি রেকর্ড রুমে প্রেরণ এবং রেকর্ড রুমের বিনষ্টকৃত নথি ধ্বংস করা হয়। সর্বশেষ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চট্টগ্রাম বিভাগ

রাঙ্গুনিয়ায় বড় ভাইকে না পেয়ে ছোট ভাইকে হত্যা

Avatar photo

Published

on

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বাড়িতে গিয়ে বড় ভাইকে না পেয়ে ছোট ভাইকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দুরখিল গ্রামে মঙ্গলবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত মোজাহেরুল ইসলাম (৩০) ওই এলাকার মো. হারুনের ছেলে। হামলাকারীরা ফেরার পথে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে থাকা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকেও কুপিয়ে জখম করেছে।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই জসীম উদ্দিন বলেন, “সরফভাটার পাহাড়ি এলাকার কামাল বাহিনীর সদস্যরা রাতে মোজাহেরদের বাড়িতে গিয়ে তার হাতে পায়ে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে জখম করে।

“ফেরার পথে তারা একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা পাঁচজন গ্রামবাসীকে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মোজাহেরকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এসআই জসীম জানান, হামলাকারীরা বাড়িতে গিয়ে মোজাহেরের ভাই দিদারকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে মোজাহেরের ওপর তারা আক্রমণ চালায়।

স্থানীয়দের ধারণা, মোজাহেরের বড় ভাই দিদারও এক সময় ওই সন্ত্রাসী দলের সাথে জড়িত ছিলেন। সেসব ছেড়ে আসার চেষ্টা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয় সন্ত্রাসীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই জসীম বলেন, “পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। সেগুলো খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হবে। তবে দিদারের বিরুদ্ধেও আগের তিনটি মামলা আছে।”

Continue Reading

চট্টগ্রাম বিভাগ

৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা আটক

Avatar photo

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা মুকুলের নেতৃত্বে উনচিপ্রাং ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- উনচিপ্রাং ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন এবং কুতুপালং ক্যাম্পের ইমান হোসনের ছেলে নুরুল হক।

সিরাজুল মোস্তফা মুকুল বলেন, টেকনাফ থানায় আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উখিয়া-টেকনাফ থেকে সম্পূর্ণরূপে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Continue Reading

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রামে ক্যাব’র পোল্ট্রি খামারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মার্কেট লিংকেজ সভা অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

বিডিপি ডেস্ক:
“নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিতে খামারীদের উৎপাদন থেকে শুরু করে গৃহীনীর পরিবেশন পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্যের প্রতিটি ধাপকে সঠিকভাবে অনুসরন করা না হলে খাবার অনিরাপদ হয়ে যাবে। তাই ভোক্তা, ব্যবসায়ী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কোনভাবেই তা সফল হবে না। ”

বুধবার নগরীর পর্যটন হোটেল সৈকতের সাম্পান কনফারেন্স হলে ক্যাব চট্টগ্রামে’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে “ওর্য়াকশপ অন মাকের্ট লিংকেজ উইথ কনজ্যুমারস, বায়ার অ্যান্ড মডেল পোল্ট্রি ফার্মারস টু প্রমোট পোল্ট্রি প্রোডাক্টস” শীর্ষক সভায় এ মন্তব্য করেন।

বক্তারা বলেন, জেলা প্রশাসন, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা র‌্যাবের অভিযানের পর যে সমস্ত হোটেল রেস্তোরাকে জরিমানা করা হচ্ছে, পরের দিনই ভোক্তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ঐ হোটেলে। অনেক সময় অভিযানের পর হোটেলের বিক্রি আরও বেড়ে যায়। তাই ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ভেজাল বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রির উৎসব বন্ধ করা যাবে না। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খামারীরা তৃতীয় পক্ষ মধ্যসত্বভোগীদের মাধ্যমে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি থাকেন। ফলে খামারী পর্যায়ে প্রতি কেজি মুরগীর দাম খামারী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত ব্যবধান থাকে। ফলে খামারীরা একদিকে তাদের পণ্যের ন্যয্য মূল্য পায় না। অন্যদিকে ভোক্তারা বেশী দামে মুরগি কিনতে বাধ্য হন। সেক্ষেত্রে খামারীদের থেকে সমবায় ভিত্তিতে সরাসরি মুরগী ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে খামারী ও ভোক্তা উভয়ে লাভবান হবেন।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম। ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি ইলিয়াছ আহমেদ ভুইয়া, ক্যাব বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহনগরের সাধারন সম্পাদক আবদুল হান্নান বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ¦ বদিউল আলম, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহা্ঙ্গীর, সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, জামালখান ওয়ার্ড সভাপতি সালাহউদ্দীন, চান্দগাও থানা সভাপতি মোঃ জানে আলম, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব পশ্চিশ ষোলশহর ওয়ার্ড সভাপতি এবিএম হুমায়ুন কবির, পোল্ট্রি খামারী মোসলেম উদ্দীন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।

সভায় বলা হয়- ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারিরা একদিকে পোল্ট্রি ফিড, লেয়ারের বাচ্চার দামসহ অন্যান্য খরচ নিয়ে উৎপাদন খরচ ও বিক্রি করে খামার টিকাতে কঠিন সংগ্রামে ব্যস্ত। তারপরও প্রাণী সম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মুরগি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ন্যায্য দাম না পাওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে দেশী মুরগি বলে সোনালি মুরগি বিক্রি করে একশ্রেণির হোটেল রেস্তোরাঁগুলো ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে। অথচ সাধারণ ব্রয়লার পোলট্রি ও সোনালি মুরগি একই ফিড, ওষুধ খেয়ে থাকে শুধুমাত্র জাতের পার্থক্য ছাড়া কিছু নাই। কিন্তু ভোক্তারা দ্বিগুন বেশী দামে এই সোনালি মুরগি কিনছেন।

বক্তারা আরও বলেন- ক্যাব ও প্রাণী সম্পদ অফিসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত মডেল পোল্ট্রি খামারগুলি বায়ো সিকিউরিটি সমৃদ্ধ(কন্ট্রোল শেড) খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছাড়াই ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করছে। স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন এখন ব্যাপক প্রসার পেয়েছে। খামারে মুরগিগুলি এখন আর যত্রতত্র, অপরিস্কার, অপরিছন্ন স্থানে বড় হচ্ছে না। তবে মুরগি জবাইয়ের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ না হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় ঝুঁকি আছে। আবার সুপারশপ গুলিও তাদের ভেন্ডরদের মাধ্যমে যে সমস্ত উৎস থেকে মুরগি কিনে থাকেন, তাতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত কিনা তা জানা অনেক স্থানে সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও বায়োসিকিউরিটিযুক্ত, প্রাণী সম্পদ অফিসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত, যথাযথ মান পরীক্ষা নিশ্চিত করে বাজারজাতকৃত মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ব্রয়লার মুরগি বাজারজাতকরণ জনপ্রিয় করতে হবে। ক্যাব চট্টগ্রামে এ ধরনের পোল্ট্রি মুরগির উৎসস্থল বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিতকারী ও যথাযথ মান নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ মান নিশ্চিত ও অন্যান্য কার্যক্রম বিষয়ে সম্যক ধারনা লাভের জন্য খামার পরিদর্শনের জন্য প্রাণী সম্পদ অফিস ও ক্যাব প্রতিনিধি কর্তৃক যৌথ পরির্দশন করে যথাযথ মান অনুসরণের মাধ্যমে মডেল খামারী গড়ে তুলেছেন। যারা ঐ এলাকা সমুহে অন্যান্য খামারীদের জন্য ও আদর্শ হিসাবে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

Continue Reading