জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আই এস এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা পাশ
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যরা তাদের নাগরিকরা যাতে ইরাক ও সিরিয়ার জিহাদিদের সাথে যুক্ত না হতে পারে সে সম্পর্কিত এক প্রস্তাবনায় একমত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিনিধিত্বে এই অধিবেশনে তিনি বলেন এই সব জিহাদিরা যেন কোনো প্রকারে অর্থ সহায়তা না পায় সেটাও রোধ করতে হবে।
এদিকে সিরিয়াতে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও আরব জোটের দেশগুলোর বিমান হামলা দ্বিতীয় দিনের জন্য অব্যাহত রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা এই খসড়া প্রস্তাবনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন পায় সর্বসম্মত্তিক্রমে।
ইরাক ও সিরিয়ায় ইয়োরোপীয় সহ বহু বিদেশি জিহাদি কাজ করছে। সেসব জিহাদিদের নিয়োগ ঠেকাতে বিশেষভাবে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন যেকোনো ধরনের চরমপন্থিদেরকেই মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন ইরাক ও সিরিয়ার সংকট সমৃদ্ধশালী দেশগুলো থেকে তরুণ প্রজন্মকে জিহাদিদের দলে ভেড়াচ্ছে।
তবে বৈঠকের সভাপতি মি. ওবামা জোর দিয়ে বলেন নিরাপত্তা পরিষদে বলা সব কথায় কাজে পরিণত হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ নিরাপত্তা কাউন্সিলকে বলেছেন সন্ত্রাস মোকাবেলায় মার্কিন প্রশাসনের কার্যক্রমে তারাও পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।
তিনি আরও যোগ করেন বিশ্ব জুরে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিস্তৃত পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন সন্ত্রাসী সংগঠন বিষয়ে তথ্য আদান প্রদানের ব্যাপারে তারা প্রস্তাব করবে একই সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম তারা জোরদার করবে।
কাছাকাছি সময়ে জাতিসংঘে মার্কিন কোনো প্রস্তাবনায় রাশিয়া ও চীনের সম্মতি দেবার ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন যুদ্ধ বিমান ইরাক ও সিরিয়ার সীমানা এলাকায় আইএসের গাড়িবহরে ও অস্ত্রের গুদাম লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
এছাড়াও বাগদাদের পশ্চিমে , ইরবিল, কুরদিশ অঞ্চলের কাছে এবং তুরস্কের সাথে সীমান্ত এলাকায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানাচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনি।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ২য় কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করলেন।
আর ৬ষ্ঠ বারের মতো নিরাপত্তা পরিষদে ১৫ টি দেশের সরকার প্রধান পর্যায়ে বৈঠক হলো।