জাতীয়
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার আটটি বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩ ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন। ২০১৬ সালের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় এক লাখ ৬৪ হাজার ২৯ জন ছাত্রী বেড়েছে। দুটি পরীক্ষায় মোট ছাত্র ১১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৩ জন ও ছাত্রী ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৪০২ জন। এরমধ্যে জেএসসি ছাত্র ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৪৫ জন ছাত্রী ১০ ৮৯ হাজার ১৫৮ জন। জেডিসিতে ছাত্র এক লাখ ৭৫ হাজার ২২৮ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৯৯ হাজার ২৪৪ জন।
শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধী মধ্যে অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ এবারও থাকছে।
নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আইনগত জটিলতার কথা বলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরে আসায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছেই এ দুটি পরীক্ষার দায়িত্ব চলে আসে।
সপ্তমবারের এ পরীক্ষা পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল দেওয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এবার ২৮ হাজার ৭৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা ২ হাজার ৭৩৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। বিদেশের আটটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬৮১ জন পরীক্ষা দিচ্ছেন। এবার অনিয়মিত পরীক্ষার্থী জেএসসিতে এক লাখ ৩ হাজার ৬৫৩ জন ও জেডিসি ১৮ হাজার ২১ জন। এছাড়া বিশেষ পরীক্ষার্থী (এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য) জেএসসিতে ৯১ হাজার ৮৬১ ও জেডিসিতে ১৪ হাজার ৬৯৮ জন। বিডিপত্র/আমিরুল