ঠাকুরগাঁও
দিনে মাছি রাতে মশা হা-য়রে রাণীশংকৈল পৌরসভা !
রাণীশংকৈল প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর সভার উন্নয়ন কাজে বেহাল দশা। দিনে মাছি রাতে মশা, হায়রে রাণীশংকৈল পৌরসভা। ২০০৪ সালে তৎকালীন পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আঃ মান্নানের সময় রাণীশংকৈল পৌর সভার রূপ লাভ করে । উপজেলার সামনে নিজস্ব একটি মার্কেটসহ পৌর সভার উন্নয়ন মূলক কাজের পথচলা শুরু হয়। সে সময় নির্মান কাজ নি¤œমানের করায় পৌর মার্কেটের হাটসেটের স্থাপনা ভেঙ্গে ঝুঁকির মুখে পড়েছে, বেহাল দশা হয়েছে সৌচাগার ও ড্রেনের । ড্রেনে ময়লা জমে পানি নিষ্কাসন বন্ধ হয়ে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। সৌচাগারের দেওয়াল ও মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন মহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। মার্কেটের গণসৌচাগার ব্যবহার না করে ড্রেনের উপর হর হামেসায় প্রসাব করছে অসচেতন লোকেরা। পৌর মার্কেটে ময়লা আবর্জনা জমে রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের খাম খেয়ালীতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না । খালি জায়গার ঘরগুলো পরিকল্পনার অভাবে পরিত্যাক্ত থাকায় লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে, পায়খানা প্রসাব করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরিণত করে। তাছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে নিম্ন মানের ড্রেন নির্মান করায় সেগুলো নিশ্চিন্ন হয়ে পড়েছে। ময়লা আবর্জনার জন্য দিনের বেলায় মাছি ও রাতের বেলায় মশার উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁচেছে। আশার আলো দেখিয়ে প্রতি বছর মশা নিধনের বাজেট পাশ করা হলেও কোন বছর এর কার্যকারিতার বিন্দুমাত্র ছাপ আজো পাওয়া যায়নি। কাঠামোগত নির্মান কাজের বাজেটে তৈরী করা রাস্তা ১ বছর না পেরুতেই ভেঙ্গে খাল খন্দরে পরিণত হয়ে পৌরবাসির হয়রানি বেড়েছে। একটু বৃষ্টির পানিতে মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পৌর সভার উন্নয়ন মুলক ঠিকাদারি কাজে স্বজনপ্রীতি করা হয় বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজে সচেতন পৌরবাসির অনেকে বাধা দিতে গিয়ে নাকানি চোবানি খেয়েছে। পেরে উঠেনি অপশক্তির কাছে, হার মানতে হয়েছে তাদের। পৌর সভার নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে যেখানে সেখানে গরু জবাই করা হচ্ছে। পরিত্যক্ত রক্ত-বর্জ্যরে দুর্গন্ধে জনজীবনের স্বভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। গরুর তাজা রক্ত খেয়ে কুকুরগুলো হিংস্র হয়ে উঠছে। কুকুর দলবদ্ধ হয়ে ফিল্মি কায়দায় সুস্থ ছাগল ধরে ধরে নিমিষেই খেয়ে ফেলছে। এমনকি মানুষের আক্রমন করে ক্ষত বিক্ষত করে বলে অভিযোগ উঠে আসলেও কুকুর নিধনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কুকুরের উপদ্রব থেকে ব^াঁচতে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌরবাসির আকুতি কোন কাজে লাগছেনা। মুহুর্তের মধ্যে একটি ছাগল ধরে খেয়ে ফেলে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পৌর শহরে রাস্তার ধারে কোন বিদ্যুৎ বাতি দেওয়া হয়নি আজ অবধি। এতে করে সমস্যা বেড়েই চলেছে।
পৌর মার্কেটের ব্যবসায়ী আইনুল হক, আঃ খালেক, মকবুল, মোঃ নয়ন, স্বপন, আঃ সালাম, মোস্তফা , মাছ ব্যবসায়ী আওয়াল, চায়ের দোকানদার জোহরুল হক, জবারুল ও মোমিনসহ অনেকে জানান, পৌরকর দেওয়া হচ্ছে অথচ আমরা পুরোপুরি পৌর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। অনেকবার বলার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
পৌর মেয়র মকলেসুর রহমান আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণির। আপনারা যত সমস্যা দেখাচ্ছেন এর চেয়ে বেশি কাজ করা সম্ভব নয়। অর্থের অভাবে পৌর মার্কেটের কাজে হাত দেওয়ার সামথ্য আমার নেই। আমরা কিছু দিনের মধ্যে মশা নিধনের কার্যক্রম চালাব বলে ভাবছি।
এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, পৌর মেয়রের সাথে কথা বলে সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা নিব।