Connecting You with the Truth

নতুন ধারা সংযোজিত করা হলো রমনা বোমা হামলা মামলার চার্জে

স্টাফ রিপোর্টার:
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ১ বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে জঙ্গিদের বোমা হামলার ঘটনায় বিষ্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার অভিযোগে (চার্জ) নতুন ধারা সংযোজন করে পরিবর্তিত ধারাতেও অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে বিষ্ফোরক আইনের ৩ ধারার সঙ্গে অতিরিক্ত ৬ ধারা সংযোজনের আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ¯েপশাল পিপি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। গতকাল ট্রাইব্যুনাল ওই আবেদন মঞ্জুর করে বিষ্ফোরক আইনের ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা সংযোজনের আবেদন আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জন মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা আব্দুর রউফ, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া ও মওলানা আকবর হোসাইন কারাগারে আটক। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
বাকি ৫ জন আসামি মওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই পলাতক আছেন। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ইতিহাসের বর্বরোচিত বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। এর আগে গত ২৩ জুন এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার রায়ে মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন একই আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, মওলানা আকবর হোসাইন, মওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা আব্দুর রউফ, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ১ বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে জঙ্গিদের বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৯ জন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। আহত হন অনেকে। নৃশংসতম এ বোমা হামলা মামলাটির তদন্তে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করা হয়। বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হয়। বিপাকে পড়ে তদন্তকাজ।
অবশেষে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঘটনার প্রায় ৮ বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

Comments
Loading...