Connecting You with the Truth

নাজিবের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়া

নাজিবের পদত্যাগ দাবিতে বড় বিক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়াআন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ও রবিবার দেশটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন শহরে ডাকা বিক্ষোভ ঠেকাতে নানা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

এরই মধ্যে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কুয়ালালামপুরের আশপাশে জড়ো হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কুয়ালালামপুরের কিছু এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রী নাজিব ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট (১এমডিবি) নামের একটি রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে দেশটির মানবাধিকার সংগঠন বেরসিহ এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। দেশটিতে নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

শনিবারের বিক্ষোভে কুয়ালালামপুরে কমবেশি দুই লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছে বেরসিহ। এটা হবে ২০০৯ সালে নজিব প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সংগঠনটির বড় ধরনের তৃতীয় বিক্ষোভ। পুলিশ এই বিক্ষোভকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে তা উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আয়োজকরা।

কুয়ালালামপুরে বিক্ষোভের প্রস্তুতি হিসেবে গতকালই জোহর প্রদেশের বাতু পাহাত এলাকায় জড়ো হয় হাজার হাজার লোক। তাদের বেশির ভাগই হলুদ শার্ট পরে আসে। কুয়ালালামপুরের বাইরেও দেশটির বড় বড় শহর এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশেও একই সময়ে মালয়েশীয় নাগরিকদের বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নাজিব ১এমডিবি তহবিলের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। সেখান থেকে অর্থ আত্মসাতের খবর জানাজানি হওয়ার পর দুই মাস ধরেই দেশটিতে জোর রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।

অবশ্য, নাজিব অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছেন, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ইন্ধনে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

ওয়েবসাইট বন্ধ: বিক্ষোভ ঠেকাতে আয়োজক সংগঠন বেরসিহর একটি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ।

bersih.org—এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিক্ষোভ-সংক্রান্ত খবরাখবর প্রচার করা হচ্ছিল। তবে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার এ ধরনের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়।

শুকবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, মালয়েশিয়ার মুঠোফোন ও কম্পিউটারগুলো থেকে ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি, দ্য স্টার

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Comments
Loading...