পুলিশকে তথ্য দিতে বাধ্য হচ্ছে ফেসবুক
প্রযুক্তি ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার সাথে অনলাইন জায়ান্টদের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তাদের গ্রাহকদের তথ্য পাওয়ার জন্য নানা ধরনের নজরদারি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। এর বাইরেও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছে সরাসরিও বিভিন্ন গ্রাহক বা ব্যবহারকারীর তথ্য দাবি করে থাকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন ধরনের নীতিমালার আওতায় এর অনেক তথ্যই কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে প্রদান করতে বাধ্য নয়।
এমনই একটি বিষয় নিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের সাথে আইনি লড়াইয়ের ঝামেলায় আটকে ছিল সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয়তম ওয়েবসাইট ফেসবুক। সোস্যাল সিকিউরিটি ফ্রড বা সামাজিক নিরাপত্তা প্রতারণা শীর্ষক এক অভিযোগের ভিত্তিতে নিউইয়র্ক পুলিশ ফেসবুকের কাছে ৩’শ ৮১ ব্যক্তির তথ্য জানতে চায়।
তাদের চাওয়া তথ্যের মধ্যে ছিল ছবি, ব্যক্তিগত মেসেজ ও তাদের অ্যাকাউন্টের অন্যান্য তথ্য। এই তথ্যগুলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দেওয়া ব্যবহারকারীদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন অভিহিত করে ফেসবুক এসব তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবেদন করে আদালতে। একই ধরনের মনোভাব নিয়ে গুগল, মাইক্রোসফট, ইয়াহুর মতো শীর্ষস্থানীয় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছেও তারা বিষয়টি তুলে ধরে একটি খোলা চিঠি লিখেন। এর প্রেক্ষিতে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেলেও সম্প্রতি ম্যানহাটনের একটি আদালত ওই ৩’শ ৮১ ব্যক্তির সকল তথ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে ফেসবুককে আদেশ দিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, ফেসবুকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেবল অভিযুক্তরাই নিজেদের তথ্য সুরক্ষার জন্য আইনি লড়াইয়ের আশ্রয় নিতে পারবে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে আদালতের এই রায়ে অষন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে এবং এটি নিয়ে তারা আবারও আপিল বিভাগের শরণাপন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের একজন মুখপাত্র।
এদিকে নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নির অফিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সোস্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তাদের ফেসবুকের তথ্য এর সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। তাই তাদের ফেসবুকের তথ্যগুলো প্রকৃত বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ