বান কি মুন সন্ত্রাসে উৎসাহ দিচ্ছেন: নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ‘সন্ত্রাসে উৎসাহ দিচ্ছেন’। জাতিসংঘের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক কখনই ভালো না। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে জাতিসংঘের প্রধানকে সন্ত্রাসে ইন্ধন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করার নজির এর আগে নেই।
সমস্যার শুরু জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গে বান কি মুনের একটি ভাষণ থেকে। সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব মন্তব্য করেছিলেন, প্রতিবাদ করা নির্যাতিত মানুষের সাধারণ প্রবৃত্তি। তার পরই ইসরায়েলের রোষানলে পড়েছেন বান কি মুন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি বলেছেন, এ ধরণের কথা বলে মি বান সন্ত্রাসে উৎসাহ দিচ্ছেন। “সন্ত্রাসের কোনও যুক্তি থাকতে পারেনা।”
নিউ ইয়র্ক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা নিক ব্রায়ান্ট বলছেন, মি বান সবসময় শব্দ উচ্চারণে খুবই সতর্ক। কিন্তু দায়িত্বের সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রাক্কালে এসে তিনি এখন স্পষ্ট কথা বলতে শুরু করেছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলিদের ওপর ফিলিস্তিনিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে একর পর এক হামলা চালিয়েছে। বদলা হিসাবে ইসরায়েল বহু ফিলিস্তিনিকে গুলি করে মেরেছে। অক্টোবর থেকে অব্যাহত এই সহিংসতায় ১৫৫ জন ফিলিস্তিনি এবং ২৮ জন ইসরায়েলি মারা গেছে।
সে প্রসঙ্গেই নিরাপত্তা পরিষদে এক ভাষণে, ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফিলিস্তিনি হামলার নিন্দা করলেও করলেও একইসাথে মন্তব্য করেন, ফিলিস্তিনি সহিংসতার পেছনে কাজ করছে ‘চরম হতাশা”।
“অর্ধ শতাব্দীর পরাধীনতা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে।” কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী সেই ব্যাখ্যায় বিন্দুমাত্র কান না দিয়ে উল্টো আক্রমণ শানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের দিকে। নেতানিয়াহু বলেন,”ফিলিস্তিনি হত্যাকারীরা দেশ গড়তে চায়না, তারা একটি দেশকে ধ্বংস করতে চায় এবং সেটা তারা মুখে বলেও।” ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, জাতিসংঘ বহু আগেই তার নিরপেক্ষতা এবং নৈতিক শক্তি হারিয়েছে।