দেশজুড়ে
ভোলায় চালু হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও মেঘনা
ভোলা প্রতিনিধি:
“উপকূলের কণ্ঠস্বর” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাশনে শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের ১৫তম কমিউনিটি রেডিও মেঘনার।
আজ রেডিও মেঘনার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়াও ভোলা-৪ আসনের এমপি বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমেদসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রথমবারের মতো এই রেডিও চালু হ্ওয়ার মধ্য দিয়ে এই অবহেলিত মানুষের পাশে থাকবে এই রেডিও। এই উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ভোলা চরফ্যাশনের কুলসুমবাগে কোস্ট ট্রাস্টের কার্যালয়ে রেডিও মেঘনার আত্মপ্রকাশ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে দেশের ১৫ তম কমিউনিটি রেডিও মেঘনার আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে সম্পদ আহরণ ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী ক্ষুদ্র মৎসজীবী ও বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র দ্বীপবাসীর সুরক্ষার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে রেডিও মেঘনা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট এই রেডিও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যে স্টেশন স্থাপনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। রেডিওটি উদ্বোধনের পর থেকে ৭ দিন পরীক্ষামূলক স্টেশন থেকে চারদিকে প্রায় ১৭ কি.মি. মধ্যের শ্রেতারা এফ এম ৯৮.৪ মিটার ব্যান্ডে রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন বলে জানান তিনি।
কোস্ট ট্রাস্ট এর সহকারী পরিচালক বরকত উল্লাহ মারুফ বলেন, দেশের উপকূল অঞ্চলে আরো বেশ কয়েকটি কমিউনিটি রেডিও থাকলেও ভোলাসহ মধ্য উপকূলের দ্বীপঞ্চলে এটি প্রথম কমিউনিটি রেডিও। এই স্টেশন স্থাপনের ফলে বিচ্ছিন্ন এলাকার লোকজন উপকৃত হবে। এই রেডিওর মাধ্যমে দুর্যোগকালে সঠিক তথ্য পেয়ে নিজেদের নিরাপরাধ রাখতে পারবে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, চাষাবাদ, বাসস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। শুধু তাই নয়, এই রেডিও মেঘনার মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশের ক্ষেত্রে চরফ্যাশন উপজেলার এবং সম্প্রচার এলাকার মানুষরা এইখানে সুযোগ পাবে। এই এলাকার মানুষরাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে। এখানকার বিভিন্ন সমস্য ও সম্ভাবনার কথা নিজেরাই রেডিও স্টেশনে এসে নিজেদের কথা তুলে ধরবে। ধীরে ধীরে এই রেডিও উপকূল মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে এটাই আমরা আশা রাখি।