দেশজুড়ে
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের অভিযোগ
খুলনা ব্যুরো:
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা রোগীদের কাছ থেকে এম্বুলেন্সের সরকারি ভাড়া উপেক্ষা করে ৪ থেকে ৫ গুণ ভাড়া হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা রোগীদের কাছ থেকে তিন হাজার পাঁচ’শ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এতে করে গরীব রোগীদের এই হাসপাতালে করুণ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণে ইতোমধ্যে অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখনও অনেক রোগীরা খুলনা গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছে না। আবার ভাড়ার ব্যাপারে দর কষাকষি করলে, রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবং বলে ভাড়া যা বলেছি তাই, গেলে যাবেন অন্যথায় কথা বাড়াবেন না। ভাড়া নেওয়ার কোন রশিদ রোগীরা চাইলে তা তাদেরকে দেওয়া হয় না। এই হাসপাতালে একটি এম্বুলেন্স। তাও আবার অন্যত্র ভাড়া চালায়। এ জন্য সময়মত এম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগী রোগীরা জানায়, তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার থেকে ভাড়া অনেক বেশি নেয়। ভুক্তভোগী, উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের নাছরিন বেগম এর কাছ থেকে চার হাজার তিনশ’, রাজাপুর গ্রামের মজিদ খান এর কাছ থেকে তিন হাজার পাঁচশ’, রাজৈর গ্রামের আনোয়ার মুন্সির কাছ থেকে চার হাজার দুইশ’ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। এ অবস্থায় শরণখোলার পল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন মেডিকেল অফিসার বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ সন্তোষজনক কিন্তু এই দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা। তাহলে প্রতি কিলোমিটার ৫০-৬০ টাকা নেওয়ার কারণ ও এম্বুলেন্স বহিরাগত কাজে ভাড়া চালানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।