Connect with us

Highlights

যশোরে হেযবুত তওহীদের বিশাল কর্মীসভা

Avatar photo

Published

on

যশোরে হেযবুত তওহীদের বিশাল কর্মীসভা
ইসলামের সুমহান আদর্শ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন, উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা রুখতে ইসলামের সুমহান আদর্শ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এসময় তিনি উগ্রবাদিদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে কর্মীদের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

গতকাল যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মীসভায় তিনি এ আহ্বান জানান। যশোর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোহাম্মদ জহির রায়হানের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এদিন সকাল ১০টায় পবিত্র কোর’আন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। এসময় হাজারো কর্মী সমর্থকের উপস্থিতিতে জেলা পরিষদ মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন,আজকে পৃথিবীতে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার হচ্ছে, সীমান্তে সীমান্তে সংঘর্ষ, যুদ্ধ-রক্তপাত ঘটছে। পৃথিবীর কোথাও আজ শান্তি নেই। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো এসবের বলির পাঠা হচ্ছে। যার ফলে দেশের রাজনীতিতেও অস্থিরতা বিরাজ করছে, ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম রেকর্ড বেড়েছে, সামাজিক অপরাধ আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি ঘটছে। এই সুযোগে কিছু ধর্মব্যবসায়ী, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির ফায়দা লুটতে চায়, উগ্রবাদি যেসব গোষ্ঠী দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায় তারা সরব হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হেযবুত তওহীদ ইসলামের সুমহান আদর্শ মানুষের সামনে তুলে ধরছে। আমরা বলছি, আল্লাহর দেওয়া দীনুল হক মানবজীবনে যদি কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় তবে মানুষ শান্তি পাবে, পৃথীবিতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের অর্থনৈতিক সংকট দূর হবে। এখন যারা আন্তরিকভাবে মনে-প্রাণে চায় আল্লাহর দেওয়া দীন মানবজীবনে প্রতিষ্ঠিত হোক, তাদেরকে অবশ্যই একটা কথার উপরে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেটা হচ্ছে আল্লাহ ও তার রসুলের হুকুম ছাড়া আর কারো হুকুম মানবো না। এই ঘোষণা দিয়েই আরবের জাহিলিয়াতের যুগে রসুল (সা.) সাহাবীদের তওহীদের উপরে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এরপর সেই ঐক্যবদ্ধ সাহাবীদের রসুল (সা). কঠোর শৃঙ্খলা শিক্ষা দিয়েছেন, তাদেরকে একজন নেতার আনুগত্য করার শিক্ষা দিয়েছেন। যাবতীয় শিরক-কুফর থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। ফলে তারা জীবনের সর্বস্ব কোরবানি করে, শত্রুর আঘাতে জর্জরিত হয়ে আল্লাহর দেওয়া দীনুল হক অর্থাৎ শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। এরফলে সমগ্র আরব উপদ্বীপে এমন ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে, মানুষ দরজা খুলে ঘুমাত, চুরি ডাকাতির ভয় ছিল না। সারা গায়ে অলংকার পরিহিত অবস্থায় একা একজন নারী শত শত মাইল পথ চলে যেত; সম্পদ বা ইজ্জত হারানোর ভয় ছিল না। জীবন-সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আদালতে মাসের পর মাস কোনো মামলা আসত না। মাপে কম দেওয়া বা খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার চিন্তাও লোকে করত না। রাষ্ট্রের কর্মচারীরা ঘুষ-দুর্নীতি থেকে ছিলেন মুক্ত। মানুষের অভাব দূর হয়ে গেল, মদ্যপান বন্ধ হল, মানুষ সুস্থচিন্তার অধিকারী হল। পারিবারিক জীবনে দাম্পত্য কলহ দূর হয়ে সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হল। সম্পত্তির উত্তরাধিকারীরা ন্যায্য অধিকার পেল। অশ্লীলতা, ব্যভিচার বন্ধ হয়ে মানুষ পবিত্র জীবনযাপন করতে থাকল।

তিনি আরো বলেন, আজকে ইসলামের সেই প্রকৃত আদর্শ হারিয়ে যাওয়ার ফলে আলেম নামক এক শ্রেণির লোক ধর্মকে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তারা ধর্মীয় লেবাস ব্যবহার করে উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে তা কোর’আন-হাদিসের নাম বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমানকে ভুলখাতে প্রবাহিত করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করছে। এখন হেযবুত তওহীদ যখন ইসলামের সেই প্রকৃত আদর্শ নিয়ে মাঠে নেমেছে তখন এই উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমেছে। ওয়াজ মাহফিলের নামে সমাবেশ করে, মসজিদের মিম্বরের মতো জায়গায় বসে তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার, গুজব রটনা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ধর্মব্যবসায়ীদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য অতীতে সাহাবীরা যেভাবে নিজেদের কোরবানী দিয়েছেন, সেভাবে নিজেদের জীবন কোরবানি দেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। ইস্পাতকঠিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে, পারস্পরিক ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এই উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে কোন আঘাতে হতোদ্যম না হয়ে, হতবাক না হয়ে সবর অবলম্বন করতে হবে। কেউ যদি কোথাও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন, কোন ষড়যন্ত্রকারী যদি হেযবুত তওহীদের নামে মিথ্যাচার করে গুজব রটনা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন।” তিনি কর্মীদের আরও বলেন, “অন্যরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও আমরা তাদের ফাঁদে পা দিব না। তবুও আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। তবে আমাদেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আমাদের অফিস, ঘরবাড়ি, জানমাল, কল-কারখানা যা কিছু আছে সকল কিছু ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার নৈতিক অধিকার আমাদের রয়েছে। সে জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন।”

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমির মো. নিজাম উদ্দিন, খুলনা-১ বিভাগের আমির মো. শামসুজ্জামান মিলন, খুলনা বিভাগীয় সমন্বকারী আজমল হোসাইন, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি নুহু মুন্সি, খুলনা জেলা সভাপতি মো. আমিন হোসাইন, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো. এস এম নুর আলম, মাগুরা জেলা সভাপতি বিএম শামীম আশরাফ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যশোর জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মেহেদী।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

“জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।

রবিবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর সদর, ঝিলটুলি, অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল মহানগর নারী বিষয়ক সম্পাদক অনামিকা হক এর সঞ্চালনায় ও ফরিদপুর জেলা নারী সম্পাদক সুস্মিতা জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১৫,২০,২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টি এন সি সি এর সদস্য নাহার যুবায়ের কণা, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় আমির মোঃ আল আমিন সবুজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় নারী সম্পাদক আসমা আক্তার, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় নারী সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম এবং ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মাহবুবুল আলম নিক্কন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বলেন, নারীরা একটি জাতির অর্ধেক জনসংখ্যা। সেই নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি, প্রগতি সম্ভব নয়। জাতির কাক্সিক্ষত উন্নতি পেতে হলে নারীদেরকে যথাযথ যোগ্যতা ও মেধানুযায়ী সমাজে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা,অপরাজনীতি, হুজুগ, গুজব, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ মানবজাতির কাছে তুলে ধরে আসছে হেযবুত তওহীদ। আর এ মহান কাজে পুরুষদের পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের নারীরাও নিজেদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রেখে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের নারীদেরকে মনে রাখতে হবে, ধর্মের নামে যাবতীয় জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে।

Continue Reading

Highlights

লালমনিরহাটে টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে থাকায় বর্বরোচিত হামলা, আহত ৭

Avatar photo

Published

on

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
‘টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে আছে কেন?’ এই বিষয় নিয়ে তর্ক জুড়ে দিয়ে লালমনিরহাটে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর। এতে হেযবুত তওহীদের ৭ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে গণসংযোগকালে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, দাড়ি টুপি পড়া কয়েকজন লোক, হ্যান্ডবিল হাতে প্রচারকার্যে নিয়োজিত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলছে। একজন পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে উত্তেজিতভাবে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা কিসের কথা বলেন, ইসলাম কি আলাদা? জবাবে হেযবুত তওহীদের কর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘ইসলাম আলাদা হবে কেন? ইসলামতো আল্লার রসুল (সা.) প্রেরিত এক ইসলামই।’ এরপর পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা সেই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের টাখনুর নিচে কাপড় কেন?’ এই বলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রচারকর্মীদের।

জবাবে হ্যান্ডবিল হাতে থাকা হেযবুত তওহীদের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আমরা অন্যায় কিছু করছি না। গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আমরা কোনো অন্যায় করলে থানায় যান’।

পরমুহূর্তেই পাঞ্জাবি পড়া দাড়িওয়ালা অপর এক ব্যক্তি তাকে ধাক্কা দেয় এবং তাদের সাথে থাকা লোকজনকে লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জন করে কয়েকটি দল লাঠিসোটা, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ভিডিওতে উস্কানি দেওয়া ব্যক্তির হাতে লোহার পাইপ লক্ষ করা যায়। এবং পাইপের মাথা বাঁকানো দেখা যায়। যা দ্বারা বোঝা যায় কাউকে আঘাত করার পর পাইপটি বেঁকে গেছে।

স্থনীয়রা জানায়, হেযবুত তওহীদের লোকেরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারকার্য চালাচ্ছিল। এসময় কয়েকজন হুজুর এসে তাদের প্রচারকার্যে বাধা দেয়। তাদের সুরত ও লেবাসে চরমোনাই পীরের অনুসারী বলে মনে হয়। ‘টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলে আছে কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে তর্ক জুড়ে দেয় তারা। কথায় কথায় ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হুজুরদের নির্দেশে একদল লোক হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা করে। হামলায় হেযবুত তওহীদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। জানা যায়, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

লালমনিরহাটের জেলা আমীর একরামুল হক বলেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা প্রচারকার্য চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাঞ্জাবি, টুপি পরা কয়েকজন লেবাসধারী লোক এসে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমরা তাদের বলি, আমরা কোনো অন্যায় করছি না। আমরা যা করছি প্রশাসনকে জানিয়ে করছি। আমরা যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে আপনি থানায় যান। আপনার আমাদের কাজে বাধা দেবার কোনো রাইট নাই। এই কথা শুনে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পড়নের প্যান্ট টাখনুর নিচে ঝুলে পড়ল কেন? এটা কেমন ইসলাম এসব কথা বলে তাদের আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা লোকেদের লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জনের কয়েকটি দল হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।

হেযবুত তওহীদের রংপুর বিভাগীয় আমীর মশীউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসনকে অবগত করে শান্তিুপূর্ণভাবে জনসংযোগ করছিল হেযবুত তওহীদ। হঠাৎ বিনা উস্কানিতে লেবাসধারী ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী কর্মসূচিতে বাধা দেয়। ৭জন সদস্যকে তারা বেদম প্রহার করেছে। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

লেবাসধারী এই ধর্মব্যবসায়ীরা আসলে চায়না প্রকৃত ইসলামটা মানুষ জানুন। তাহলে তাদের ধর্মব্যবসা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের মুখোশ খুলে যাবে। সেজন্যই পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের এই জনসংযোগে হামলা করেছে। হামলাকারীদের লেবাস দেখে, পোশাক-আসাক দেখে মনে হচ্ছে তারা চরমোনাই পন্থী। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা, ধর্মব্যবসা, অপ-রাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, হুজুগ, গুজব এবং নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে দেশব্যাপী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটেও গণসংযোগ করে আন্দোলনটির নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে ‘বাংলাদেশসহ সমগ্র মানবজাতির সংকট ও পরিত্রাণের পথ’ নামে সচেতনতামূলক একটি হ্যান্ডবিল প্রচার করছিলেন হেযবুত তওহীদের সদস্যরা।

Continue Reading

Highlights

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কুমিল্লা জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আগমন ফুড পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।

সাবেক কুমিল্লা জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. সুজন, লালমাই উপজেলা সভাপতি আবু রায়হানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এই দেশে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তি দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়াসহ যেসব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে সবগুলো দেশকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আরেক দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কাজেই আমাদের যাবতীয় সহিংসতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো সংকটের সমাধান ইসলাম দিয়েই সম্ভব কিন্তু ইসলামের সেই প্রকৃত রূপ কারও কাছে নেই। মহান আল্লাহ দয়া করে সেটা হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমরা প্রকৃত ইসলামের আদর্শ দিয়ে একটা নোয়াখালীতে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করে দেখিয়েছি। যে আদর্শ একটা ছোট্ট সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে পারে ইনশাআল্লাহ সেই আদর্শ দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। এই মহতী কাজে সকলকে আমরা সাথে চাই।

এরআগে এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল। অনুষ্ঠানে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Continue Reading