Connect with us

ঠাকুরগাঁও

রাণীশংকৈলে দলিত ও আদিবাসীদের সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের সাথে ইএসডিও’র মতবিনিময়

Avatar photo

Published

on

ঠাকুরগাঁও: দলিত ও আদিবাসীদের অনুকূলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল প্রেমদীপ প্রকল্পের উপজেলা অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইকো সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’র আয়োজনে ও হেকস ইপারের সহযোগিতায় সভায় রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের যুগ্ন-আহবায়ক নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের সমন্বয়কারী সেরাজুস সালেকিন, প্রকল্পের এডভোকেসি ম্যানেজার শাহ মো. আমিনুল হক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম।

এসময় ইএসডিও’র প্রেমদীপ প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য শিক্ষা স্বাস্থ্য সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তি লিগ্যাল এইড সাপোর্ট সংবেদনশীল সভা সহ বিভিন্ন অর্জন সমূহের উপর মতবিনিময় আলোচনা করেন- রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, মোবারক আলী, সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন জীবন সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক খুরশিদ আলম শাওন, সাবেক প্রচার সম্পাদক বিজয় রায়, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, প্রধান শিক্ষক কুশমত আলী, দলিত নেতা,আদিবাসী নেতা এনএমসি সম্পাদক সেজুতি টুডু, সান্ত পাহান, রমেশ চন্দ্র দাস, শেফানুয়্যেল মাডি, শেফালি হেমরম প্রমুখ।

এসময় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এবং দলিত ও আদিবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপজেলার বসবাসকারী দলিত ও আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান বিষয়ে মতামত প্রকাশ করা হয় এবং দলিত ও আদিবাসীদের অনুকূলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের আহবান জানানো হয়।

দলিত আদিবাসি কমিউনিটির বিভিন্ন সমস্যা ও উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের উপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের ম্যানেজার খায়রুল আলম।

আনোয়ার হোসেন আকাশ/বিডিপি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কৃষি সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে গমের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

Avatar photo

Published

on

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের মাঠে গমের সবুজ সমারোহ। গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা তাদের।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬ হাজার ৬শ’ ৫৭ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে, ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সবুজ ক্ষেতের সমারোহ। সবুজে চোখ রাখলে তা ফেরানো যায় না। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। তিনি এ বছর ৫০ শতক জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের চন্দ্র মোহন বলেন, গম চাষাবাদে খরচ এবং রোগ বালাই খুব কম হয়। এ বছর আমি দুই একর জমিতে চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি কাশিডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির জানান, এক বিঘা মাটিতে গম চাষে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা মাটিতে কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৮ মণ গম উৎপাদন হয়। গত বছরের মতো এ বছরো গমের মূল্য প্রতি মণ ১ হাজার টাকা হলে বিঘা প্রতি লাভ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রানীশংকৈল উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি ২ একর জমিতে গম চাষ করেছি বাম্পার ফলনের আশা করি এবার লাভ হতে পারে। পীরগঞ্জ উপজেলার কৌশানিগঞ্জ নাককাটি গ্রামের মোশারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর গম আবাদ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা ভালো দাম পায় তাহলে তাদের মুখে হাসি ফুটবে তাই এবার গমের ফলন বাম্পার হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্র থেকে বলেন, ‘এ ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি গম চাষের জন্য উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছরও গমের বাম্পার ফলন হবে’।

Continue Reading

ঠাকুরগাঁও

পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Avatar photo

Published

on

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা ঢাকতে আরফিন আক্তার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় উড়না পেঁচিয়ে বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আরফিন আক্তার উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের কৃষক জবেদ আলীর মেয়ে। ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে চতুর্থ। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সে রাণীশংকৈল উপজেলার ডিকে ধর্মগড় (কাশিপুর) মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। এতে ইংরেজি বিষয়ে কম নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হন।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকে ভীষণ কান্নাকাটি করতে দেখে প্রতিবেশী ও স্বজনরা সান্ত্বনা দেন। পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা আর নিজের ওপর অভিমান করে গতকাল বুধবার বিকেলে সবার অজান্তে মেয়েটি নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

গেদুড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুঞ্জুর হক বলেন, ‘মেয়েটির মা বাড়িতে নামাজ পড়ছিল। তার বাবা বাসায় ছিল না। সে রেজাল্ট শোনার পর বাসায় এসে গলায় উড়না দিয়ে বাশের সাথে ফাঁস দেয়। পরে তার ছোট বোন গোসল করে রুমে গিয়ে দেখে সে ছটফট করে। তাকে নামানোর পর সে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা হরিপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে হরিপুর থানার তদন্ত ওসি মো আনারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। তিনি জানান এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় ফেল করা নিয়ে পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার একপর্যায়ে বেলী অভিমান করে আত্মহত্যা করে।

Continue Reading

Highlights

ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার

Avatar photo

Published

on

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়। সোমবার পৌর শহরের ডিসি বস্তির শুভ নামে এক যুবক সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

জানা যায়, রোববার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যুৎ নামক স্থানে কয়েকজন শিশু কাঠবিড়ালী ভেবে অসুস্থ অবস্থায় গন্ধগোকুলটিকে আটক করে। বিষয়টি শুভ জানার পর কাঠবিড়ালী হিসেবে সেটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় বিভিন্ন ধরনের খাবার দিলেও গন্ধগোকুলটি কিছু না খাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকেরা প্রাণীটির ছবি তুলে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠান। পরে বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় এটি একটি বিরল প্রজাতির নিশাচর প্রাণী। এটি সাধারণত কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায়; তাই দ্রুত এটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। শুভ এটি জানার পর গন্ধগোকুলটি নিয়ে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম মণ্ডল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে এটি একটি গন্ধগোকুল। এটি মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী, নিশাচর প্রাণী। গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে এ প্রাণীটির বাস। এরা মূলত কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা, পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রস খেয়ে থাকলেও খাদ্যের অভাবে মুরগি, কবুতর ও ফল চুরি করে। ফল ও ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকারও করে থাকে এরা। ঠাকুরগাঁও বনবিভাগ কার্যালয়ের পাশ্ববর্তী জঙ্গলে এটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

Continue Reading