Connecting You with the Truth

রেকর্ড হলো মৌসুমের ন্যূনতম তাপমাত্রার

winter picডেস্ক রিপোর্ট:
রাজশাহীতে গত কাল সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কাল সারা দেশের মধ্যে এটাই সর্বনিু তাপমাত্রা। চলতি মৌসুমেও সর্বনিু তাপমাত্রা এটি। গত কয়েক দিন ধরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমছে। বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে রাজশাহী মহানগরে বসবাসকারী জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাজশাহীতে সর্বনিু এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমতে থাকায় দ্বিগুণ শীত অনুভূত হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সর্বনিু তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ১৮ জানুয়ারি ছিল সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও সর্বনিু ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি। ১৯ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সর্বনিু ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর গত কাল সর্বনিু তাপমাত্রা নেমে আসে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা রাজশাহীসহ সারা দেশে চলতি মৌসুমে সর্বনিু তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিু তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। চলতি মাসের শেষ দিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বয়ে যেতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে কাঁপছে উত্তরের ছিন্নমূল মানুষ। মহানগরীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে হঠাৎ করে তীব্র শীত জেঁকে বসায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতে কাতর তারা। পথের ধারে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। তবে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণও শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই হৃদরোগ, ডাইরিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হক।

Comments
Loading...