দেশজুড়ে
লক্ষ্মীপুরে নানীকে বাঁচাতে গিয়ে মামার বটির কোঁপে ভাগ্নে আহত
পরিবারের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রোহান একই গ্রামের বাসিন্দা বিধবা মিনরা বেগমের ছেলে ও দারুল আমান একাডেমির ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের লোকজন জানায়, পূত্রবধূ পারভিনের সাথে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটতো সেলিমের মা মনোয়ারা বেগমের। সকালে তার সাথে পুত্রবধূর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে বিকালে তার ছেলে বাড়িতে আসলে সে বউয়ের উস্কানিমূলক কথায় মাকে মারধর করতে আসে। এক পর্যায়ে মাকে মারার জন্য বটি হাতে নিয়ে তাড়া করলে নানীকে বাঁচাতে রোহান এগিয়ে আসে। এসময় মামার হাতে থাকা বটি দিয়ে পেটে আঘাত করা হয়। এতে তার পেটের মেদভূড়ি বের হয়ে আসে। এর আগেও বউয়ের কথামতো বৃদ্ধা মাকে মারধর করত সেলিম।
মনোয়ারা বেগম হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, বউয়ের উস্কানিমূলক কথা শুনে ছেলে সেলিম তাকে মারতে আসে। এসময় তার নাতি রোহান মামার হাত থেকে নানীকে বাঁচাতে গিয়ে বটির আঘাতে গুরতর আহত হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জানান, আহত রোহানের পেটের অবস্থা খুবই গুরুতর। বটি’র আঘাতে তার পেটের মেদভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করে নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।