Connecting You with the Truth

লোহাগাড়ায় ৫ হাজার রাবার গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

Lohagara Photo 22-03-2015লোহাগাড়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর কাছে চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় তার রাবার বাগান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তার বাগানের ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫ হাজার রাবার গাছ পুড়ে গেছে।
গত ১৬ মার্চ বিকেল ৫ টার দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলার লুলাইং এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে গত ১৯ মার্চ তার বাগান কর্মচারী জালাল আহমদ বাদী হয়ে ১৬ জন স্থানীয় মুরুং সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে লামা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় লামা থানার লুলাইং এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে অন্যান্য রাবার বাগান মালিকদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ।
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলার লুলাইং, ডলুছড়ি ও কেঁয়াজু পাড়া এলাকায় তার ক্রয়কৃত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বাগান, নার্সারী ও রাবার বাগানের ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ করে স্থানীয় সংঘবদ্ধ সশস্ত্র মুরুং সন্ত্রাসীরা গত ২৭ ফেব্র“য়ারি ও ৬ মার্চ তার রাবার বাগানে গিয়ে কর্মচারী জালাল আহমদের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় মুরুং সন্ত্রাসীরা এও বলে হুমকি দেয় যে, তাদের পাহাড়ি এলাকায় বাঙ্গালীদের জায়গা-জমি ও বাগান রক্ষা করতে হলে এ চাঁদা দিতেই হবে।
সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ বিকেল ৫ টার দিকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই মুরুং সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চাইতে গিয়ে চাঁদা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদ চৌধুরীর রাবার বাগানের ৫ হাজার রাবার গাছ পুড়িয়ে দেয়। এতে তার ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে লামা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ চৌধুরীর রাবার বাগান পোড়ানোর বিষয়টি জেনেছি এবং এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে, স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলার লুলাইং, ডলুছড়ি ও কেঁয়াজু পাড়া পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ করেই বাঙ্গালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে স্থানীয় মুরুং সন্ত্রাসীরা। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বিভিন্নজনের নার্সারী, খামার বাড়ি, রাবার বাগান ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বাগান পুড়িয়ে দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা। আবার কোন কোন ব্যবসায়ী নিরবে তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিয়ে কোন প্রকারে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন। তবে, উক্ত এলাকায় বাঙ্গালী ব্যবসায়ীরা মুরুং সন্ত্রাসী আতঙ্কে রয়েছেন প্রতিনিয়ত।

Comments
Loading...