Connecting You with the Truth

শরীয়তপুরে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে সাবার দেখার যেন কেউ নেই

Shariatpur Pic 6  17-01-2015শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চাকধ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১টি গাছ কেটে ফেলেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। গাছকাটার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন অনুমতি নেওয়া হয় নি। ওই যুবকেরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার প্রতিবাদ করতে পারছে না। অন্যদিকে সদর উপজেলার ৪০নং কাশাভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কেটে নেওয়ার সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী আটক করে রাখে।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার নড়িয়া উপজেলার চাকধ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১টি গাছ বিক্রি করে দেয় ওই গ্রামের যুবকেরা। গত মঙ্গলবার মিলন বারই, আলমগীর মৃধা ও ভূমখাড়া ইউপি সদস্য বাবু শেখ, সামনে দাঁড়িয়ে থেকে গাছগুলো কেটে দেয়। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ীর কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় ১১টি মেহগনী গাছ। যার বাজার মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা হবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গাছকাটার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের কোন অনুমোদন নেয় নি তারা। তারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার প্রতিবাদ করতে সাহস পায় নি।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য বাবু শেখ বলেন, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ডি এম শাজাহান শিরাজের অনুমতি নিয়ে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের রাস্তা মেরামত করা হবে।
এ ব্যাপরে কথা বলতে ডি এম শাজাহান শিরাজের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরষদের সভাপতি ডা. খালেদ শওকত আলী বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন অনুমোদন নেওয়া হয় নি।
প্রধান শিক্ষক গাছ কাটায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা বাধা মানে নি। নড়িয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুখ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি করতে হলে রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসন বরাবর পাঠাতে হবে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বন কর্মকর্তার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গাছ বিক্রি করবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

Comments
Loading...