জাতীয়
জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। আমরা বাংলাদেশের মাটি কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যবহার করতে দেব না।’
ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন আজ সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে তাঁর জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণের নিশ্চয়তা বিধানে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনা সম্পর্ক আরো জোরদারে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সফরের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে সর্বসম্মতভাবে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত বিল পাস করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সেদেশের রাজনৈতিক নেতা ও পার্লামেন্ট মেম্বারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
জবাবে সুমিত্রা মহাজন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ এবং ভারত সরকারের সহযোগিতার কারণেই এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ভারতের লোকসভার স্পিকার গত জুনে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই ফলপ্রসূ সফরের পর দু’দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দারিদ্র্যমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ সময়ে ভারতের লোকসভার মহাসচিব অনুপ মিশ্র এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ভুটানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার জিগমে জাংপো একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, তখন থেকেই সম্পর্ক ক্রমগতভাবে জোরদার হচ্ছে।
দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা সৈয়দপুর বিমান বন্দর এবং বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের জন্য ভুটানকে দেয়ার ঢাকার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সড়ক সংযোগও হচ্ছে। জিগমে জাংপো বলেন, ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে খুবই মূল্য দিয়ে থাকে।
থিম্পু ও ঢাকার মধ্যকার বিদ্যমান সহযোগিতা তুলে ধরে তিনি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, জলবিদ্যুৎ খাতে সমঝোতার মাধ্যমে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে।
জিগমে জাংপো রাজধানীর বারিধারায় কূটনৈতিক এলাকায় ভুটানের দূতাবাসের জন্য প্লট বরাদ্দ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভুটানের রাজার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
ভুটানের উচ্চ শ্রমমূল্যের বিষয়ে জিগমে জাংপো মন্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থিম্পু তার চাহিদা মিটাতে বাংলাদেশ থেকে মাছ ও সবজি আমদানি করতে পারে। শেখ হাসিনা ভুটানের রাজার কাছে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়ার জন্য জিগমে জাংপোকে অনুরোধ করেন। এসময় ভুটান পার্লামেন্টের সদস্য জুংলে দ্রুঙ্কপা এবং রিনজিন দর্জি উপস্থিত ছিলেন।
Highlights
ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
Highlights
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের
Highlights
‘দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস