সিরিয়ার ইদলিব ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো ইদলিব শহরের দখল নিয়েছে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট নুসরা ফ্রন্টসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ ও বিদ্রোহী যোদ্ধারা শনিবার এ খবর জানিয়েছে। উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাদেশিক রাজধানী ইদলিব দখলের মাধ্যমে কট্টর ইসলামিপন্থী বিদ্রোহীরা রাক্কা প্রদেশের পর দ্বিতীয় প্রদেশ ইদলিবেরও দখল নিল। রাক্কা প্রদেশটি ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) দখলে আছে। কট্টর ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী নুসরা ফ্রন্ট, আহরার আলইসলাম আন্দোলন এবং জুন্দ আল আকসা মিলে ইসলামপন্থী সুন্নি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট গঠন করেছে, তবে এ জোটে আইএস নেই। আইএস তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। গত মঙ্গলবার ইদলিব দখলে নেয়ার জন্য হামলা শুরু করেছিল বিদ্রোহী জোটটি। তবে ইদলিবের পতনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিরীয় কর্মকর্তাদের মন্তব্য জানা যায়নি। সিরিয়ার রাষ্ট্রিয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লড়াই চলছে এবং সেনাবাহিনী শহরটির উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসরমান বিদ্রোহীদের রুখে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় কয়েকশত বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রিয় টেলিভিশন বলেছে, “পরিস্থিতি আগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনী মরণপণ লড়াই করছে।” ইদলিব দখলের জন্য হামলাকারী বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর ইন্টারনেটে পোস্ট করা ভিডিওতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ইদলিবে রাস্তাগুলোতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে বলা কথাতে ওই বিদ্রোহীরা দাবী করেছেন, তারা শহরের কেন্দ্রস্থলে আছেন। ভিডিওতে বিদ্রোহীদের সরকারি বাহিনীর বেহাত হওয়া এক কমপাউন্ডে দাঁড়িয়ে বাতাসে গুলি ছুঁড়তে ও চিৎকার করে “আল্লাহু আকবর” বলতে শোনা গেছে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও সবচেয়ে বড় শহর আলেপ্পোর মধ্যে সংযোগকারী একটি মহাসড়কের কাছে ইদলিব শহরের অবস্থান। এই মহাসড়ক থেকে আরেকটি সড়ক সিরিয়ার উপকূলীয় প্রদেশ লাতাকিয়ার দিকে চলে গেছে। লাতাকিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নিজের প্রদেশ।