Connecting You with the Truth

৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশ করুন: গয়েশ্বর

goyesshor

গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বুধবার বিকেলে এসব কথা বলেন। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ ও ঘৃণা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহীতা, সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহীতা আর মিথ্যা কথা বললে দেশপ্রেম। এই নীতিতে বিশ্বাস করি না। সত্য যত নির্মম হোক সত্য সত্যই। কে কত লাখ বললো এটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। তারপরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা পারেন করেন।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তারা ৩০ লাখ হোক বা ৬০ লাখ হোক তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। তাদের তালিকা থাকবে না কেন। কি কারণে থাকবে না? এই শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে। সে কারণে শহীদ পরিবার আমাদের কাছে অধিকার রাখে তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ভাল মন্দ দেখার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করার। এ জন্য সরকারকে বলবো মামলা টামলা যা দেন লাভ হবে না।’

তিনি আরো বলেন, টিআইবি যা লিখবে তাতে সরকারের সন্তুষ্ট হওয়ার কথা না। দুর্নীতিতে এক ধাপ বেড়ে ১৩তম হয়েছে। দুর্নীতিতে এক ধাপ এগিয়ে আসছে। তাহলে তো তারা এক ধাপ এগিয়ে আছে সেটা কি আজিমপুরের দিকে না ১৯ থেকে ৩৮ সালের দিকে সেটা এখন জনগণের দেখার বিষয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নিজের ভাল থাকার জন্য মামলার ভয়ে কৌশল অবলম্বন না করে বুক টান করে রাজপথে হাঁটুন। নেত্রীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন না। আমরা যত চুপ করে থাকি না কেন মামলা আমাদের ছাড়বে না। সহকর্মীদের গুমের মিছিল অনেক বড় হয়ে গেছে। শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নিখোঁজ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। রক্ত ও জীবন দিয়ে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুর বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

Comments
Loading...