Connect with us

স্বাস্থ্য

৫টি উপায়ে সম্ভব কিডনিতে পাথর রোধ

Avatar photo

Published

on

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কিডনির পাথর আসলে খাবার থেকে গৃহীত খনিজ পদার্থের নিরেট অবস্থা। খাদ্যের উপাদানই এই পাথর তৈরি করে। এসব উপাদান মূত্রের সঙ্গে বের হয়ে যেতে পারে না, কিডনিতেই থেকে যায়। কোনোভাবে পাথর মূত্রপথে আটকে গেলে প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়। তখন জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। কিডনিতে পাথর যেকোনো মানুষের হতে পারে। আবার অনেক মানুষের কখনোই হয় না, কয়েকটি বিষয় মেনে চলার কারণে। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড বালটিমোর ওয়াশিংটন মেডিকেল সেন্টারের এন্ডুরোলজি অ্যান্ড কিডনি বিভাগের পরিচালক ড. জুলিও ডাভালোস জানিয়েছেন, কিডনির পাথর থেকে দূরে থাকতে হলে আপনাকে পাঁচটি বিষয় মেনে চলতে হবে।

১. জলযোজিত থাকা
পাথর সৃষ্টির পেছনের বড় কারণটি হলো দেহে পানির অভাব। খাদ্যের ক্যালসিয়াম, ফসফরাস বা ইউরিক এসিডের মতো নানা খনিজ উপাদান দ্রবীভূত না হলে তা মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে না। ‘এ সমস্যা নিয়ে যত মানুষ এসেছে তাদের প্রতিদিন তিন লিটার পর্যন্ত পানি খাওয়া জরুরি ছিল’, জানান ড. জুলিও। ঘোলাটে ইউরিন দেহে পানির অভাবের লক্ষ্মণ নির্দেশ করে। যথেষ্ট পানি খেলে একজন মানুষ প্রতিদিন আড়াই লিটার মূত্র ত্যাগ করবে। কাজেই প্রতিদিন নিয়মিত পানি খেতে হবে।

২. লবণ কমিয়ে দিন
আমেরিকার এক জরিপে বলা হয়, আমেরিকানরা গড়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণ করে। প্রত্যেকের প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম লবণ খাওয়া প্রয়োজন হলেও প্রায় পাঁচ হাজার মিলিগ্রাম লবণ দেহে চালান হয়। লবণ প্রস্রাবে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম উৎপন্ন করে। এতে খনিজ জমতে শুরু করে। মনে রাখবেন, খাবার থেকে প্রতিদিন দেড় হাজার মিলিগ্রাম লবণ দেহে প্রবেশ করে।

৩. পরিমিত ক্যালসিয়াম
ড. ডাভালোস বলেন, অতিরিক্ত দুধ, পনির বা আইসক্রিম খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হয় বলে মারাত্মক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, পাথর তৈরিতে ক্যালসিয়াম মূল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু খাদ্যতালিকা থেকে এটি পুরোপুরি বাদ দিলে বরং পাথরের সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ জানায়, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন এক হাজার থেকে এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। তবে আগে থেকেই কিডনিতে পাথর থাকলে হয়তো চিকিৎসক প্রতিদিন ৮০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম খেতে মানা করবেন।

৪. পরিমিত প্রোটিন
রেড মিট ও ডিমের মতো উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দেহে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলস্বরূপ কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। এসব খাবার দেহে সাইট্রেট উৎপাদনের পরিমাণও কমিয়ে দেয়। এটি মূত্রের এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা পাথর হওয়া রোধ করে।

৫. পরীক্ষা করানো
যদি কিডনিতে একটিমাত্র পাথরও থেকে থাকে, তবে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন দ্বিতীয়টি হওয়া কীভাবে রোধ করা যায়। আরো পাথর হচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করে ডাক্তারকে দেখিয়ে দিন। খুব সাধারণ মানের একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই কিডনির পাথরের খবর জেনে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু রোগী বা চিকিৎসক কেউই বিষয়টি করতে আগ্রহ বোধ করেন না। তাই অবশ্যই একটি সাধারণ পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন। দেখে নিন কিডনিতে পাথর আছে কি না।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

স্বাস্থ্য

শীতে মুখের ঘা, ক্ষত সারানোর পদ্ধতি যেনে নিন

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
অনেকেই মুখে ঘা হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। ছোট-বড় সবারই মুখে ঘা হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে মুখে ঘা হতে পারে। মরণব্যাধি এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের কারণে মুখে ঘা হতে পারে।

এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়। মুখে ঘা হলে ভেতরের মাংসে, উপরে বা জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে কিছু খেতে গেলেই জ¦লে। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত কামড় লেগে বা কেটে গেলে মুখের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এমনকি শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এমনটি হয়ে থাকে। আবার খুব গরম পানীয় পান করলে বা শক্ত কিছু চাবানোর সময় গালের মধ্যে কামড় লেগে ঘা হতে পারে। এসব সাধারণ কারণ ছাড়াও মুখের ঘা নানা ধরনের মরণব্যাধির কারণে হতে পারে।

এছাড়া শীতেও মুখের ঘা মাউথ আলসারের সমস্যা বাড়তে পারে। এর কারণ হলো শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মুখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদিও ওভার-দ্য-কাউন্টার টপিক্যাল ওরাল জেল ও ক্রিম ব্যবহারে অনেকটাই মুখের ক্ষত সেরে যায়। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-

১. ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
২. মুখের আলসার দূর করতে অ্যালোভেরা জেল খুবই কার্যকরী এক উপাদান। মুখের ভেতরের যন্ত্রণা ও ব্যথা মুহূর্তেই সারিয়ে তোলে এই ভেষজ উপাদানটি। মুখের ঘা সারিয়ে তুলতে দিনে দুবার মুখের ভেতরে অ্যলোভেরার রস ব্যবহার করুন।
৩. ওষুধি গুণে ভরপুর তুলসি মুখের ঘা সারাতেও কার্যকরী অবদান রাখে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে। মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
৪. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দুর্দান্ত এক ঘরোয়া উপায় হলো লবণ পানিতে গার্গল করা। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
৫. প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যালিসিন নামক উপাদান আছে। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন ঘষুণ। সূত্র: জিনিউজ/ফেমিনা

Continue Reading

স্বাস্থ্য

যে ৭ কারণে আদা খাবেন

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ঝটপট এক টুকরো আদা মুখে পুরে নিলেই হলো! শুধু কি তাই? আদার রয়েছে আরও অনেক গুণ। জেনে নিন আদা খাওয়ার ৭ উপকারিতা সম্পর্কে।

১। বুক জ্বালাপোড়া করা, হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে পারে আদা।
২। মধু কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন আদা। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। পাশাপাশি শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৩। পেশী ভালো রাখতে পারে আদা। এ ছাড়া পেশীর ব্যথা কমাতেও কার্যকর এই ভেষজ।
৪। আদায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। গলা খুসখুস ভাব ও বমি ভাব কমাতে পারে আদা।
৬। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে আদা।
৭। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বেশ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

তথ্য: হেলথলাইন

Continue Reading

স্বাস্থ্য

শীতে খুশকি তাড়ানোর উপায়

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শীতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে বাড়ে খুশকির প্রকোপ। একটু সচেতন থাকলে খুশকির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন খুশকি তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

১। চার টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
২। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে চার চামচ পোস্তদানা পিষে দুধে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগান। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। সপ্তাহে দুইবার দই লাগান চুলে। খুশকি দূর হবে।
৪। রাতে ঘুমানোর সময় অড়হর ডাল খোসাসহ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পিষে মাথায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৫। রিঠা দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। রাতে ৫ চামচ আমলকী আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৭। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে নিন। এই তেল চুলে ভালো করে ঘষুন।
৮। খুশকি তাড়াতে লেবুর রসও বেশ কার্যকরী। লেবুর রস চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

Continue Reading