বিবিধ
অপচয় রোধ করতে যা করবেন!
অপচয় করা খুব খারাপ একটি বিষয়। কিন্তু তারপরেও অনেক সময় আমরা এই কাজটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে করে থাকি। যেমন রাতে একটু ভাত রয়ে গেছে কেউ খাবে না তাই তা আমরা ফেলে দিই কিংবা ফ্রিজে কিছু খাবার অনেক দিন ধরে পড়ে আছে, খেতে একটু অন্যরকম লাগছে তাই খাবার ছুড়ে দেই ডাস্টবিনে… একবার ভেবে দেখুনতো এগুলো কি অপচয় না।। পৃথিবীতে কোন কিছুই ফেলনা নয় চাইলে যেকোন জিনিস দিয়েই বুদ্ধি করে অনেক কিছুই করা যায় আবার কোন কোন জিনিস এমন ভাবে ব্যবহার করা যায় যা অপচয়ও হয়না আবার সুন্দর করে ব্যবহারও করা যায়।
১। পাউরুটি আমরা সকলেই খাই। বেশিদিন হয়ে গেলে ফেলে দিই। কিন্তু ফেলে না দিয়ে পাউরুটি পানি মিশানো দুধে ২ মিনিট ভিজিয়ে নিন তারপর মিনিট দুয়েক তা মাইক্রো ওয়েভে দিলেই খাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবে।
২। চিজও এখন আমাদের নিত্য দিনের খাবার জিনিস। পিজা, কেক, স্যুপ ইত্যাদি খাবারে চিজের ব্যবহার করে থাকি আমরা। তবে দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যায় বলে ফেলে দেই। ফেলে না দিয়ে আপনি গ্রেট করে ওমলেট বা চিজ সসও বানাতে পারেন।
৩। ভাতের ফ্যান আমরা সকলেই ফেলে দেই। মাঝে মাঝে সুতি কাপড় শক্ত করতে ব্যবহার করি। কিন্তু এই ফেলনা জিনিসেই থাকে প্রচুর ভিটামিন। ফ্যানা ঠাণ্ডা করে তা দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। চাইলে পানীয় হিসেবেও খেতে পারেন, সামান্য লবণ, চিনি, মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৪। বাড়িতে মেহমান এসেছে, তাই অনেক মিষ্টিও রয়ে গেছে ফ্রিজে। পুরনো মিষ্টি খেতেও ভালো লাগেনা কারণ শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে কোন প্রয়োজন আছে কি অপচয় করার। মিষ্টি, ভাত বা সুজির সাথে মিশিয়ে কোন নতুন ডেজার্ট বানাতে পারেন।
৫। অনেক সময় কোন কিছু রান্না করতে গেলে বা কোন প্রয়োজনে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের প্রয়োজন হয় তখন আমাদের বাধ্য হয়ে পুরো লেবুই কাটতে হয়। এরপর ব্যবহার না করার ফলে লেবুও নষ্ট হয়ে যায়। তাই সামান্য কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের প্রয়োজনে কাঁটাচামচ দিয়ে লেবুর একটা দিক ফুটো করে চিপড়ে রস বের করে নিন।