রাজনীতি
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৃটিশ উন্নয়নমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৃটিশ উন্নয়নমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার সঙ্গে উভয় দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলেন। যুক্তরাজ্য আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত বন্ধু। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে বৃটিশ মন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
‘বর্তমানে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হব। তবে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে প্রক্রিয়াগত কারণে আরো তিন বছর লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিগণিত হবে।
‘দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৫ বছর। আরো আগেই আমদের মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিগত দিনে নানা ঘটনার কারণে বারবার আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকা- বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে।’
মধ্যম আয়ের দেশ হলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বাণিজ্যিক ঋণ পেতে সুবিধা হবে। বর্তমানে আমরা ফ্রান্স থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিচ্ছি। চীন, জাপান থেকেও পাচ্ছি। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্তমানে ঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশটি ঋণ দেওয়া বন্ধ করেছে। তারা এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে।’
বৈঠক শেষে বৃটিশ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের অনেক পুরনো বন্ধু। এ ছাড়া বৃটেনে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ ছাড়া সেখানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়শোনা করছে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।’
বাংলাদেশেরপত্র/এড/আর