জাতীয়
আমদানিকৃত গম খাবার উপযোগী কি না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত গম খাদ্য উপযোগী কি না তা পরীক্ষা করে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে এটি জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আমদানিকৃত গম পরীক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানী করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কান্তি বল। গতকাল সোমবার গম আমদানির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এ্যাডভোকেট পাবেল মিয়া। রিটে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত এবং বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বারি)এর মাধ্যমে গম পরীক্ষার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এছাড়া মানহীন গম আমদানি এবং সরবরাহ কেন আইনগত কতৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, বিএসটিআই ও বারির ল্যাবেরটরীতে পরীক্ষার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, অনিয়মের অভিযোগ কেন তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়। রিটে খাদ্য সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর চেয়ারম্যান এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়। আবেদনে গম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মান নিয়ে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল। ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো বিভাগ এর মান নিয়ে কোনো সনদ দেয়নি। বন্দরে অবস্থানকারী খাদ্য অধিদপ্তরের রসায়নবিদেরা এই গমের বেশ কয়েকটি চালানকে ‘বি’ ক্যাটাগরির বা মাঝারি থেকে নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।’
‘এসব জেনেও খাদ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক সারোয়ার খান চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ওই গমের ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন। অধিদপ্তরের আমদানি-সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামত, চিঠি ও পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।’
‘এই গম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রেশন হিসেবে সরবরাহের পর এর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের সব বিভাগীয় কার্যালয় এই গমকে নিম্নমানের এবং খাওয়ার অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে একাধিকবার চিঠি দেয়। তার পরও খাদ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বারবার বলছে, এই গম অখাদ্য নয়।