Connect with us

কক্সবাজার

আজ দেশে ফিরছেন আরো ১৫৫ বাংলাদেশী

Avatar photo

Published

on

কক্সবাজার : মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া আরও ১৫৫ বাংলাদেশীকে ফেরত দিচ্ছে মিয়ানমার। আজ বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাদের হস্তান্তর করবে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হবে। মঙ্গলবার রাতে ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে ৮ জুন এবং ৩৭ জনকে ১৯ জুন বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

এর মধ্যে ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে দেশটির নৌবাহিনী আরও ৭২৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্য থেকে বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত হওয়া ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হচ্ছে বুধবার।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কক্সবাজার

এ কেমন বর্বরতা! অনিয়মের প্রতিবাদ করায় বেঁধে পেটালেন শিক্ষকরা

Avatar photo

Published

on

স্কুলের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা খরুলিয়া এলাকায় আয়াত উল্লাহ নামে এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি এ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। নাফিস প্রথম শ্রেণিতে এ প্লাস না পাওয়ায় এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে সকালে স্কুলে যান আয়াত উল্লাহ। একই সময় পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক বেতন কেন বাড়ানো হয়েছে তাও জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।

এ সময় পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে ডেকে আনেন বোরহান। শুরু হয় ত্রিমুখী তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে ঘটনাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এ সময় আয়াত উল্লাহ ছিলেন একা। ‘কেন এসব জানতে চাচ্ছ’ এই বলে শিক্ষক জহিরুল হক আয়াত উল্লাহকে ধাক্কা দেয়। একই সময় বোরহান উদ্দিনও তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মাটিতে পড়ে যান অভিভাবক আয়াত উল্লাহ।

এরপর রশি দিয়ে তার হাত ও পা বেঁধে ফেলা হয়। তাকে মারধর করতে থাকেন দুই শিক্ষকসহ তাদের সহযোগীরা। আয়াত উল্লাহকে লাথি মারে ও থুথু দেন শিক্ষক জহিরুল হক ও বোরহান উদ্দিন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আয়াত উল্লাহকে এমনভাবে মারা হচ্ছে যেন তিনি একজন বড় সন্ত্রাসী। মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হলেও কোন শিক্ষক বা ছাত্রছাত্রী তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়নি। পরে তার চিৎকার শুনে স্কুলের আঙিনায় গিয়ে পৌঁছে পথচারীরা। শিক্ষক-ছাত্রদের পায়ের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আয়াত উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই স্কুলে প্রায় সময় অনিয়ম করা হয়। কিছুদিন আগে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ করা হয় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। কেজি স্কুলে নানা অনিয়ম রয়েছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম করেন অনেক শিক্ষক। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।তিনি বলেন, আমার ছেলের কাঙ্খিত ফলাফল কেন হয়নি? কোন যুক্তিতে ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়ানো হয়েছে? জানতে চাওয়ায় আমার উপর নির্যাতন করা হয়েছে। দুই শিক্ষকই এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে। শিক্ষক জহিরুল হক, নজিবুল্লাহ, নুরুল হকসহ আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমার উপর নির্যাতনে সরাসরি জড়িত।

কেন এমন ঘটনা সৃষ্টি করা হয়েছে জানতে চাওয়া হয় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের কাছে। তিনি বলেন, আয়াত উল্লাহ আমাদের স্কুলের ছাত্র ছিল। বেয়াদবি করায় তাকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে। এমনকি আর কোনদিন ‘বেয়াদবি করবে না’ মর্মে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে একজন শিক্ষক হিসেবে হাত-পা বেঁধে মারধর করা উচিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি ক্ষুব্ধ লোকজন ঘটিয়েছে।

অভিযুক্ত অপর শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও ওপার থেকে নিজেকে বোরহান উদ্দিন নয় দাবি করে বলা হয়, ভর্তি ফি, মাসিক ফি ইত্যাদি বিষয় স্কুল পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে হয়। আমাদের কাছে জানতে চাওয়ায় আয়াত উল্লাহকে কমিটির কাছে যেতে বলা হয়। তাতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে যান।এতটুকু উত্তর দিয়ে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। নিজের সঠিক পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পরে একই ব্যক্তি কল করে অারেকটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেন, এটি বোরহান স্যারের নম্বর। কল দিলে বিস্তারিত জানবেন। কিন্তু ওই নম্বরে ফোন করেও কোন সাড়া মেলেনি। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নোমান হোসেন বলেন, শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। খুনের আসামি কিংবা বড় মাপের কোন অপরাধীকেও এভাবে শাস্তি দেয়ার বিধান নেই। এটি চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা দরকার।

Continue Reading

কক্সবাজার

কক্সবাজারের ১০ মন্দিরে হামলার হুমকি দিয়ে আইএস’র চিঠি

Avatar photo

Published

on

humkiকক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ১০টি মন্দিরে ৩০ জুলাই’র মধ্যে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে আইএস। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাকযোগে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ।
এডভোকেট রনজিত দাশ জানান, ডাকযোগে পাঠানো চিঠিতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তার হস্তগত হয়। চিঠিটি হাতের লেখা। চিঠিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্য করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো ‘ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি কক্সবাজার। আই.এস জঙ্গি সংগটন। আগামী ৩০ শে জুলাইয়ের মধ্যে কক্সবাজারের সর্বপ্রথম মন্দিরে হামলা চালাবো। বাক্ষ্ম মন্দিরে, এরপর কালিবাড়ি, ইসকন মন্দির, কৃষনন্দ ধাম, শংকর মঠ বড় ধরণের হামলা চালাব, রামকৃষ সেবাশ্রম। আমরা যতদিন না পর্যন্ত হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে না ততদিন পর্যন্ত এ জিহাদ চলবে।
আমরা জঙ্গি আমরা ইসলাম চাই কক্সবাজারের সমস্ত মন্দিরের পুরোহিত সভাপতি সেক্রেটারি এদের আমরা আলাহ আকবরের নামে খুঁজে খুঁজে বের করে খুন করবো, আমরা আই.এস জঙ্গি পারিসত ভারতে পালিয়ে যা। আর না পারলে তোদের গলা কেটে হত্যা করব। যত বড় প্রশাসন আসুক না কেন হত্যা অবশ্যই করব। তারপরে মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে বহুবার চেষ্টা করেছি পারিনি এইবার আর রেহাই নেই। আলাহ আকবর, আই.এস।’
এডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, ‘চিঠিটি পাওয়ার পর আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়ি। সাথে সাথে নিরাপত্তা চেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের অভয় দেয়া হয়েছে এবং সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির সাধারণ ডায়রি রুজু করেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা আলাদা দেখছি। একই সাথে মন্দিরের নিরাপত্তা বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ব্রাহ্ম মন্দির প্রাঙ্গনে জরুরী সভা ডেকেছে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ। উক্ত সভায় শহরের সকল মঠ-মন্দিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে যথাসময়ে জরুরী ভাবে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।

Continue Reading

কক্সবাজার

টেকনাফে ডাকাতদের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ২

Avatar photo

Published

on

teknaf  টেকনাফ (1)কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের টেকনাফে দুই ডাকাত দলের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন ডাকাত নিহত হয়েছে। বুধবার রাত ১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়ার ১৪নং ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এই যুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহতদের তাৎক্ষনিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাকিম ডাকাত দলের সঙ্গে একই এলাকার নুরুল হাকিম প্রকাশ শিয়াইল্যা ডাকাত দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঘটনাস্থলেই ২ জন ডাকাত নিহত হয়। খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ২টি বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পাঠানো প্রস্তুতি চলছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জড়িতদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

Continue Reading