কক্সবাজার
কক্সবাজারে ধস ও পানিতে ডুবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১
কক্সবাজার: কক্সবাজারে পাহাড়ি ঢল, ঝড়ো হাওয়ায় গাছ চাপায় ও পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো দুই জন। এছাড়া, পাহাড় ধসে সাত জন আহত হয়েছেন।
জেলায় প্লাবিত হয়েছে হাজারো গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিশ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি ও দুই শতাধিক চিংড়ি ঘের। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কসহ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা যোগায়োগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নিহতদের মধ্যে কক্সবাজারের রামুতে পাহাড়ি ঢলে ছয় জন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঝড়ো হাওয়ায় গাছ চাপা পড়ে দুই জন ও কক্সবাজার শহরে পাহাড় ধসে একজন, পেকুয়ায় মায়ের কোল থেকে পড়ে এক শিশু ও চকরিয়ায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার বিভিন্ন সময় ও বৃহস্পতিবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।
রামু উপজেলায় নিহতরা হলেন, ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের আমতলিয়া পাড়ার হালিমা বেগম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মিতারছড়ার জাকির হোসেনের ছেলে রিদুয়ান, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ বিটের জিনু মিয়া, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আমির হোসেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতারপাড়ার সুলতানের মেয়ে খতিজা বেগম ও এরশাদ উল্লাহর মেয়ে হুমায়ারা বেগম। নিখোঁজ দুই জনের নাম জানা যায়নি।
রামু উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম জানান, ঝড়ো হাওয়াসহ পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন। প্লাবণে পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছেন ছয়জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক বসত বাড়ি। দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকায় সড়কের উপর পানি প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের যানবাহন চলাচল।
কক্সবাজার ফায়ার বিগ্রেড স্টেশনের পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ায় পাহাড় ধসের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে মাটি চাপা পড়া চার জনকে জীবিত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঘণ্টাব্যাপী মাটি সরিয়ে এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ডা. অনুপম শাহা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ি উচ্ছেদ হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ10 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার9 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস