ঢাকা বিভাগ
কালকিনিতে এলজিইডির ব্রীজ নির্মান নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রকাশ
আশরাফুর রহমান কালকিনি(মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর হাটে এলজিইডি(স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) এর একটি ব্রীজ নির্মানকে কেন্দ্রকরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী সহ গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ নির্মান করতে গিয়ে খালের ওপর বিকল্প সড়ক(ডারভারসন) নির্মান না করায় এপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী জানায়, এলজিইডির ৭৪লক্ষ টাকা ব্যায়ে গোপালপুর খালে হাট সংলগ্ন একটি ব্রীজ নির্মান শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভূইয়া এন্ড কনেস্টাকশন। কিন্তু নির্মান কাজ শুরু করা হলেও সাধারন মানুষের যাতায়াতের জন্য কোন বিকল্প সড়ক তৈরি না করায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয় হাটের ব্যবসায়ী ক্রেতা ও স্কুল মাদ্রাসা পড়–য়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
গোপালপুর হাটের ব্যবসায়ী মোঃ শিপন, সোহেল তালুকদার, ইলিয়াস শেখ, আঃ রাজ্জাক তালুকদার, মোঃ জহির বেপারী, মোঃ আবুল, মহসিন হাওলাদার, গ্রামবাসী আরজু হাসান মানিক, রুবেল তালুকদার, নান্নু তালুকদার, হানিফ তালুকদার, আমির ঘরামি, আরজ আলী, আলিম তালুকদার সহ ৩০/৪০জন ভূক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন ‘ ব্রীজ নির্মান করতে আসলে আমরা প্রথমে ডারভারসন(বিকল্প সড়ক) নির্মানের দাবী জানাই। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোসাররফ হোসেন কারো দাবীর তোয়াক্কা না করে কাজ শুরু করে। এতে আমরা চরম দূর্ভোগের শিকার হই। আর কাজও করা হচ্ছে নিন্ম মানের সামগ্রি দিয়ে। আমরা এর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা দাবী করি।
এব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোসাররফ হোসেন বলেন ‘ ডারভারসন ছিল কিন্তু খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা তলিয়ে গেছে তবে ঠিকাদারকে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’