Connect with us

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরেও গরুর মাংস নিষিদ্ধ ঘোষণা করল আদালত

Published

on

cow_reuters_640x36

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরের হাইকোর্ট সে রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে গরুর মাংসের ওপরে নিষেধাজ্ঞা যেন পুলিশ-প্রশাসন অত্যন্ত কঠোরভাবে পালন করে। আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মুসলিম প্রধান রাজ্যটিতে কড়া প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে আর আন্দোলন শুরু করারও আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।

কাশ্মীর যেহেতু আগে হিন্দু মহারাজাদের শাসনাধীন ছিল, তাঁদের আমলে ১৮৬২ সালে একটা পৃথক দন্ডবিধি তৈরী করেন তাঁরা – যেটা ভারতীয় দন্ডবিধির থেকে অনেকটাই আলাদা। রনবীর পিনাল কোড (আরপিসি) বা দন্ডবিধি আর ভারতীয় দন্ডবিধি দুটোই ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীর রাজ্যে চলে – রাজ্যটির বিশেষ স্টেটাস বা সাংবিধানিক মর্যাদার কারণে।

ওই আরপিসি অনুযায়ী কাশ্মীরে খাওয়ার জন্য গরু জবাই করা নিষিদ্ধ – সেই আইনটি দেখিয়েই আদালত নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছে।
এর আগে ১৯৮০ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার একবার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু ব্যাপক আন্দোলনের ফলে সরকার তা থেকে পিছিয়ে আসে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত যে এখন থেকে গরুর মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতেই হবে।

এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে যথারীতি খুবই কড়া প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। মুসলিম সংগঠন বা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো সকলেই এতে ক্ষুব্ধ। একটি সংগঠন ঘোষণা করেছে যে তারা কোরবানির ঈদের দিন রাজধানী শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র লাল চকে গরু জবাই করে এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করবে। সারা দেশে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা ক্ষমতাসীন বিজেপির একটি ঘোষিত লক্ষ্য আবার বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন ১২ তারিখ একটা বড় বৈঠক ডেকেছে যেখান থেকে আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।

একটি সংগঠন বলছে রাজ্য বিধানসভা বা এমনকি ভারতের সংসদও যদি গরুর মাংসের ওপরে নিষেধাজ্ঞার জন্য আইন তৈরী করে, তাহলেও তারা সেটা মানবে না। এরই মধ্যে কাল শুক্রবার – জুম্মার নমাজের পরে যাতে এ নিয়ে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।

গরুর মাংসের ওপরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন পরিমোক্ষ শেঠ নামে জম্মুর এক আইনজীবী। মি শেঠ ভারতীয় জনতা পার্টির যুব সংগঠনের একজন কর্মকর্তাও বটে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে এই নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনের পিছনে বিজেপির একটা সমর্থন রয়েইছে। বিজেপি এর আগে সারা দেশেই গরু জবাই করার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান তীব্র করছে।

এর আগে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসার পর পরই গরুর মাংসের ওপরে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অন্য দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাতে গরু পাচার না হতে পারে, তার জন্যও বিএসএফকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির সরকার।

গরুর মাংসের ওপরে নিষেধাজ্ঞা বিজেপি ও আরএসএসের একটা মূল নীতিরই অঙ্গ – যেটা এখন তারা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। তবে এটাও ঘটনা গরুর মাংস প্রক্রিয়াকরণ করে, টিনবন্দি করে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশেরপত্র.কম/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *