Connect with us

Highlights

কুমিল্লার ঘটনার জেরে ১৩ জেলায় হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, নিহত ৪

Avatar photo

Published

on

বিডিপি ডেস্ক:
কুমিল্লার ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৩ জেলায় হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছেন শতাধিক অভিযুক্ত। গত বুধবার সকালে কুমিল্লায় ‘কোরআন অবমাননার’ খবর স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা ছড়ায় ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনার জেরে ওইদিন রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন মারা যায়।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনার পর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ওই সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের মরদেহ বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কুমিল্লায়ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত৪ জন হল- হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের আল আমিন (১৮), রান্ধুনীমুড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ইয়াছিন হোসেন (১৫), একই এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে শামীম (১৯) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাবলু (৩০)।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন দেবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি ২২ জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন কররেছে সরকার। এছাড়া কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহীতে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

কুমিল্লার ঘটনায় এই জেলায় বৃহস্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এদিন বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিভিন্ন জেলায় হামলা-সংঘর্ষ-প্রতিমা ভাঙচুর:

গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লা ও চাঁদপুর বাদে অন্তত ১২ জেলায় মন্দিরে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া খুলনায় একটি মন্দিরের প্রবেশপথ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৮টি বোমাসদৃশ বস্তু।

মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন দুই পুলিশসহ পাঁচজন। কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আশফাক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।

গাজীপুর: মহানগরের কাশিমপুর বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে দুর্বৃত্তরা তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুর জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পেরেছি, ৪০০ থেকে ৫০০ লোক ওই মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।’

সিলেট: সিলেটের জকিগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারে বুধবার রাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করা হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী আক্তার, জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী ও জকিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাসেম ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁরা কালীগঞ্জ বাজারের অদূরে মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে ইউপি কার্যালয়ের সামনে থাকা ইউএনও, এএসপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ওসির গাড়িতে হামলা হয়। এএসপির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক তিনজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বাগেরহাট: বুধবার রাত ১০টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া গ্রামে মিছিল বের করেন কিছু লোক। এ সময় মিছিল থেকে উত্তেজনা ছড়ানোর দায়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুরে বুধবার সন্ধ্যায় দুই দফায় শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১০টার দিকে এই উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৮টি মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। উলিপুর থানার থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে। ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার জলদাসপাড়ায় ও কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ও বড়উঠান ইউনিয়নের মাঝামাঝি শাহমীরপুর সনাতনপাড়ায় বুধবার সন্ধ্যায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় কয়েকটি মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হয়। কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, কর্ণফুলীর ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা এলাকায় দুটি পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জেও বুধবার রাতে দুটি পূজামণ্ডপে হামলা ও প্রতিম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা।

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৪টি এলাকায় অন্তত ৭টি মন্দির ও বেশ কিছু বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন জনপ্রতিনিধি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় পেকুয়া থানায় তিনটি মামলা হয়েছে বলে জানান পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

খুলনা: নগরের রূপসা মহাশ্মশানঘাট মন্দিরের প্রবেশপথের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৮টি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব–৬) উপপরিদর্শক আবদুল খালেক বলেন, মন্দিরের মূল ফটকসংলগ্ন এলাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট গিয়ে প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ১৬টি এবং মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দুটি বোমা উদ্ধার করে। এগুলো রাতেই নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা করা হয়। র‍্যাব-৬ -এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, কোনো কুচক্রী মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতেই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।

বান্দরবান: মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশেকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষে লামা থানার অফিসার ইনচার্জসহ উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত জনতা লামা কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরের সামনে রাস্তায় নির্মিত দূর্গাপূজার প্যাণ্ডেল, দোকান ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নে ৫টি মন্দিরে হামলা হয়েছে। এসময় ১৬ প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে একই সময় রামগতি পৌরসভার জমিদারহাট বাজার সংলগ্ন শ্রী শ্রী রামঠাকুরাঙ্গন মন্দির ও পূজামণ্ডপে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ, শটগানের ৫৪ রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান।

আরও পড়ুন:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যা ঘটেছিল

কি ঘটেছিলো কুমিল্লার পূজামণ্ডপে?

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ওরা সওমকে ব্যবসার হাতিয়ারে পরিণত করেছে : হেযবুত তওহীদের এমাম

Avatar photo

Published

on

রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে বিশাল আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ ২০২৪) সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-আইডিইবি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. তসলিম উদ্দীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম সওমের নিয়ম, উদ্দেশ্য, শিক্ষা এবং দেশ ও সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি, মুসলমানদের দুর্দশা এবং এ থেকে উত্তরণের পথ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সওম মানে আত্মসংযম, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা, বিরত থাকা। রোযা তথা সওমের উদ্দেশ্য এই যে, মো’মেন ব্যক্তি সারাদিন পানাহার ও জৈবিক চাহিদা পূরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন, নিজের আত্মাকে শক্তিশালী করবেন। তিনি অপচয় করবেন না, পশুর ন্যায় উদরপূর্তি করবেন না। তিনি হবেন নিয়ন্ত্রিত, আত্মত্যাগী। বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, দরিদ্র মানুষের দুঃখ অনুভব করে তিনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেবেন। আল্লাহর হুকুম মানার ক্ষেত্রে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন অর্থাৎ তিনি হবেন তাকওয়াবান। তার এই চরিত্রের প্রতিফলন ঘটবে সামাজিক ও জাতীয় জীবনে। গড়ে উঠবে এমন এক সমাজ যেখানে সবাই একে অপরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে উৎসাহী হবে, বিরাজ করবে পরস্পর সহমর্মিতা, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব। প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি।

তিনি আরও বলেন, আজকের বাস্তবতা এই যে, বর্তমানে এই মৌলিক শিক্ষা হারিয়ে সওম বা রোযা যেন হয়ে গেছে কেবল না খেয়ে থাকা। দেখা যায়, রমজান আসলেই মুসলিমদের মধ্যে হুলুস্থুল পড়ে যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়ে ওঠে আকাশছোঁয়া। সংযমের মাস এলেই মুসলিমদের সংযমের সব বাঁধ যেন ভেঙে যায়। আজ রোযাকে ব্যবসার হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মানুষ বাজারে গিয়ে নিত্য পণ্যের দাম শুনে অসহায় হয়ে পড়ে। সবাই যেন অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। ধর্মব্যবসাও জমজমাট হয়ে ওঠে এই মাসে। এ জাতীয় অপরাধ ঢাকা দেয়ার জন্য আত্মপ্রচারের আশায় কিছু দান-খয়রাত করতে দেখা যায় মাত্র। কিন্তু রোযা তথা সওমে সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়ের বোধ অর্থাৎ তাকওয়া সৃষ্টি হয়না, প্রকৃত সিয়ামের সাধনা হয় না মন্তব্য করেন তিনি।

উপস্থিত অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, রোজার নির্দেশনাটা মূলত মো’মেনদের জন্য। তার মানে মো’মেনরা রোজা পালন করবে। প্রশ্ন হচ্ছে- এই মো’মেন কারা? তারাই মো’মেন যারা আল্লাহ ও রাসুলের উপর ঈমান আনে, কোনো সন্দেহ পোষণ করে না এবং সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করে। এই মো’মেনের জন্যই হলে রোজা, নামাজ, হজ্ব সবকিছু। আমরা হেযবুত তওহীদ আমাদের জীবন ও সম্পদ আল্লার রাস্তায় কোরবান করে দিয়ে প্রকৃত মোমেন হবার চেষ্টা করছি বলেন তিনি।

এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তোলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তোলওয়াত করেন কারি মো. আসাদ। এরপর দলীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি তসলিম উদ্দিন তার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের প্রধান উপদেষ্টা খাদিজা খাতুন, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ, হেযবুত তওহীদের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা প্রমুখ।

এক পর্যায়ে হামদ নাত ও গজল পরিবেশন করেন মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর নিয়মিত শিল্পী শাহীন আলম, রাফে আহমেদ, তাহমিনা আক্তার চাঁদ, তাহী ও ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। তাদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয় দর্শকরা।

দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। তার আগমনে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।

নামাজ শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বক্তব্য শেষে তিনি মানবজাতির শান্তি কামনা করে দোয়া করেন। মোনাজাত শেষে মাগরিবের আযান দিলে সবার মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। অতিথিরা সবাই মিলে একাকার হয়ে ইফতার করেন।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহ নেওয়াজ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, হেযবুত তওহীদের সাহিত্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, মিরপুর শাখার সভাপতি আব্দুল হক বাবুল, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমেদ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান, ঢাকা জেলার সভাপতি ইউনুস মিয়া, উত্তরা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিনসহ ঢাকার বিভিন্ন থানার সভাপতি ও সহস্রাধিক নেতাকর্মী।

Continue Reading

Highlights

দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাতীয় ঐক্যের ডাক হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

হেযবুত তওহীদের গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ ২০২৪) বিকালে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন তেলিপাড়াস্থ সাগর সৈকত কনভেনশন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, রাজতন্ত্রের কবর হয়ে গেছে বহু আগে। ফ্যাসিবাদ মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বহু ফ্যাসিস্ট আত্মহত্যা করেছে। সমাজতন্ত্রও ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রও লাইফ সাপোর্টে আছে- মন্তব্য করেন তিনি।

হেযবুত তওহীদের এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য আমরা দেখেছি। প্রতি ৫ বছর পর পর মহা সংকটে পরতে হচ্ছে জাতিকে। একদল ক্ষমতায় গেলে পরের দিন থেকেই শুরু হয় তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা। সমানে চলে জ্বালাও পোড়াও। বাসে আগুন দিয়ে নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। সাপের মত পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করা হচ্ছে। ক্ষমতায় যাবার লড়াইয়ে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘটের নামে নৃশংসতা মানুষ দেখেছে। এই সিস্টেম আর মানুষ দেখতে চায় না। মানুষের তৈরি সব সিস্টেমই তো আমরা অ্যাপ্লাই করলাম। সবগুলো ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের তৈরি তন্ত্রমন্ত্র বাদ দিয়ে আল্লার দেওয়া সিস্টেমে প্রত্যাবর্তন করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা আমাদের ব্যাপারে মাতব্বরি করে আসছে বরাবরই। তারা একে একে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন তাদের শকুনি দৃষ্টি পড়েছে আমার প্রিয় জন্মভূমির উপর। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের কূট চাল চালছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শকুন যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে কোনো সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। হেযবুত তওহীদ থাকতে তাদের এই দুরাশা কোনো দিন পূর্ণ হবে না। প্রয়োজনে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য জীবন দেব তবুও দেশকে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান হতে দিব না- বলেন এই নেতা।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহ নেওয়াজ খানের সঞ্চালনায় ও ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের আন্তর্জাতিক প্রচারণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, হেযবুত তওহীদের সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দিন, দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও গুলশান শাখার সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন রাব্বানী, ঢাকা বিভাগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া ও মো. তসলিম উদ্দিন এবং হেযবুত তওহীদের গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. শাহজাহান প্রধান, মহানগর সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

Continue Reading

Highlights

রাজধানীতে ‘বাংলা ভাষার মান রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা

Avatar photo

Published

on

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘বাংলা ভাষার মান রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি-কাচার মেলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হৃদয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ।

সংগঠনটির উপদেষ্টা শাহ মুহাম্মদ সেলিম রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘বাংলা ভাষা বিকৃত করার প্রবণতা তরুণদের মধ্যে বেশ লক্ষণীয়। অফিস-আদালত, চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপনসহ প্রায় জায়গাতেই চলছে বিদেশি ভাষার ব্যবহার। বিদেশি ভাষার আগ্রাসনে খাঁটি বাংলা ভাষার চর্চা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় আফসোসের বিষয় হলো, আমাদের সমাজে কিছু সুশীল ব্যক্তিবর্গ আছেন যারা বেশি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন। যার প্রভাব পড়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে। তারাও মিশ্র ভাষায় কথা বলতে শেখে। বেসরকারি বেতারগুলোর উপস্থাপকরা তো বাংলা বলেন না বললেই চলে। পৃথিবীর প্রায় ২৮ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলা ভাষার স্থান সপ্তম। বাংলা ভাষার ঐতিহ্য এবং সাহিত্যসম্ভারও বিপুল। অথচ নতুন প্রজন্ম বাংলা ভাষার প্রতি উৎসাহী ও মনোযোগী নয়। আরেকদিকে ইংলিশ মিডিয়ামের দৌরাত্বে অনেক ছেলেমেয়ে যদিও বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে কিন্তু লিখতে পারে না। একটু শিক্ষিতরা বাংলার সাথে ইংলিশ শব্দ মিশ্র করে ককটেল বানিয়ে ব্যবহার করে গৌরব করে। অন্যদিকে একজন অশিক্ষিত কৃষক শ্রমিকের কথায় যদি আঞ্চলিকতা প্রকাশ পায় তাকে আমরা ক্ষেত বলে পরিহাস করতে ছাড়ি না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বক্তব্য রাখছেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

বক্তব্য রাখছেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু আমরা কি বাংলা ভাষাকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারছি? আমরা কি বিশুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারি? আমরা কি বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধ করতে পেরেছি? ১৯৪৮ সালে করাচিতে নিখিল পাকিস্তান শিক্ষা সম্মেলনে পাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রয়াসে আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাব করেছিল। আমরা কিন্তু তাদের অযৌক্তিক প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। হয়েছে প্রতিবাদ, আন্দোলন। কিন্তু এখন তরুণ প্রজন্মের বড় অংশই ইংরেজি অক্ষরে বাংলা লিখছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কোনো মহল থেকেই এর কোনো প্রতিবাদ উঠছে না -বলেন এই বক্তা।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলা ভাষার শুদ্ধ ও সঠিক ব্যবহারের প্রতি অনেকের আগ্রহ কমছে বলে মনে হয়। বিশেষ করে আমাদের শিশু ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভাষার প্রতি মমত্ব ও আগ্রহ নিয়ে উদাসীনতা মোটেও ভালো কিছু নয়। শিশু ও তরুণদের একাংশ বাংলার চেয়ে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। এর জন্য আমাদের বিদ্যমান পরিস্থিতিও অনেকাংশে দায়ী। ইংরেজি ভাষা শিক্ষা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু নিজের ভাষাকে অবহেলা করার পক্ষেও আমি নইÑ বলেন হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

তিনি বলেন, ‘বিমা-ব্যাংকে গেলে বাংলার ব্যবহার প্রায় অদৃশ্য। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা হয়; এমনকি কর্মরতদের নাম, পদবিও থাকে ইংরেজিতে। ব্রিটিশরা আমাদের মনে পরনির্ভরতা ও বিদেশি ভাষার প্রতি যে অনুরাগ তৈরি করে গেছে, সেটি বদলাতে হবে। বিদেশি শব্দ ও ভাবধারার প্রতি আমাদের দুর্বলতা দূর করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ সরকারিভাবে তাদের নিজস্ব ভাষা ব্যবহারে সাফল্য দেখিয়েছে; তাহলে আমরা কেন পারব না?”

সবশেষে তিনি বলেন, মানবজাতি এক জাতি। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ইসলামের নিষিদ্ধ। সব ভাষাই আল্লাহর দেওয়া। প্রকৃতির বৈচিত্র্য যেমন স্বাভাবিক তেমনি ভাষার বৈচিত্র্যও স্বাভাবিক। ইসলাম ভূপ্রকৃতির কারণে জাতীয়তাবাদ এবং ভাষার কারণে বিভিন্নতার কারণে জাতীয়তাবাদ কোনটাকেই স্বীকার করে না। ইসলামের বিধানে সমস্ত মানুষ এক জাতি ভাষার কারণে কোনো জাতি অন্য জাতির উপরে শ্রেষ্ঠ হতে পারে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, লায়ন কেফায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির, অতিথি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও লায়ন সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রূপা আহমেদ, দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি রিয়াদুল হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি রিয়াদুল হাসান তার বক্তব্যে বর্তমানের বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন দুর্বলতা তুলে ধরে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ সুশৃঙ্খল রূপ তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথি দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা তার বক্তব্যের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আদালতে ইংরেজি ভাষার ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এসব দপ্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশিত ভাষার গানে দেশের গানে মুখরিত হয় মিলনায়তন।

Continue Reading