দেশজুড়ে
কুলিক নদীর বুক চিরে বোরো চাষ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রূপ লাবন্যের এক অপরূপা কুলিক নদী। এক সময় ভরা যৌবন নিয়ে কলকল ধ্বনিতে বয়ে যেত যে। রাজা টংকনাথ যার রূপ লাবন্য দেখে তৈরি করেছিলেন রাজ প্রাসাদ। নদীর পানিতে স্নান করতে নামার জন্য তৈরি করেছিলেন পাকা সিঁড়ি। আজো তার জ্বলন্ত স্বাক্ষী হয়ে এলাকার মানুষকে অতীতের ইতিহাস প্রমাণ করে।
সেই খরস্রোতা নদী এখন আর রূপ লাবণ্য ছড়ায় না। এক শ্রেণির সুবিধাভোগী স্বার্থাম্বেসী মানুষের শিকার হয়ে নদীটি তার নব্যতা হারিয়েছে। পাড় কেটে নদীর বুক চিরে শুরু করেছে বোরো চাষ। মৃতপ্রায় নদীতে পানি তেমন না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার কয়েকশ’ জেলে পরিবার, একমাত্র মাছ ধরেই যারা জীবিকা নির্বাহ করত। দেশী মাছের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে রাজবাড়ির সন্নিকটে একটি অভয়াশ্রম গড়ে তুললেও তার সফলতায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা যায়। নদীর রূপ যৌবন ফিরিয়ে আনতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার বলে পরিবেশবিদগণ জানান। নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে এলাকার কয়েকশ’ জেলে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে সকলের প্রচেষ্টার দরকার হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সংসদ সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটা বলেন, নদীর নব্যতা ফিরিয়ে এনে দেশীয় মাছের ঘাটতি পুরণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারগুলো উপকৃত হবে। কুলিক নদীসহ এলাকার প্রতিটি নদীর ব্যাপারে ইতিমধ্যে সংসদে আলোচনা করেছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের জোর দাবি আছে, থাকবে।