জাতীয়
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরতদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারসহ পাঁচদফা দাবিতে রবিবার দুপুরে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এই ঘোষণা দেন।
এর আগে রবিবার সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকে। এতে ঢাবির শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ঢাবির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে যায়। এরপর ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), নীলক্ষেত মোড় ঘুরে মিছিলটি আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন কোটা সংস্কার প্রত্যাশীরা। গত বুধবার আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে রমনা থানা পুলিশ ৬৩জন আন্দোলনকারীকে আটক করে। পরে রাত নয়টার দিকে আটককৃত ৬৩জনকে রমনা পুলিশ ছেড়ে দেয়। কিন্তু ওইদিন রাতেই শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মির্জা মো. বদরুল হাসান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ করার জন্য অজ্ঞাত ৭০০-৮০০জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরিতে একাধিকবার কোটা সুবিধা ব্যবহার না করা, কোটার কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা।