Connect with us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে গুগলের নতুন ঘোষণা

Avatar photo

Published

on

নতুন বছরের শুরুতেই পুরোনো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ৮.১ ব্যবহৃত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজারের সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল।

‘ক্রোম ১০৯’ হলো সর্বশেষ ভার্সন, যেটি পুরোনো এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ব্যবহার করা যাবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ‘ক্রোম ১১০’ রিলিজ করবে গুগল। ক্রোম ব্রাউজারের নতুন এই ভার্সন ব্যবহার করতে চাইলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা তার উন্নতমানের অপারেটিং সিস্টেম থাকতে হবে।

গুগলের অফিসিয়াল সাপোর্ট পেজে বলা হয়েছে, ‘উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ সাপোর্ট করবে এমন গুগল ক্রোমের শেষ ভার্সন হলো গুগল ক্রোম ১০৯। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রিলিজ হতে যাওয়া ক্রোম ১১০ ব্যবহার করার জন্য ডিভাইসটি অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ চালিত হতে হবে।’

গুগলের এই সিদ্ধান্ত একেবারে যে অপ্রত্যাশিত, তা কিন্তু নয়। কেননা আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২৩ থেকেই উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর এক্সটেন্ডেড সাপোর্ট বন্ধ করে দেবে মাইক্রোসফট। আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পুরোনো উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারগুলোতে ক্রোমের সাপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গুগলের।

তবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, ক্রোম ১১০ ভার্সন রিলিজ হওয়ার পরে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ চালিত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার আর কাজই করবে না। ক্রোম ১০৯ দিয়ে কাজ ঠিকই করা যাবে কিন্তু তাতে নতুন আপডেট ও নিরাপত্তা আপডেট দেবে না গুগল। ফলে উইন্ডোজ ৭/৮/৮.১ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ডিভাইস ব্যবহার করা চালিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের।

ক্রোমের আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যাচ যোগ করা হয়। সাইবার নিরাপত্তার জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপডেট বন্ধ হয়ে গেল স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেবে। তার ওপর মাইক্রোসফটও তাদের সাপোর্ট তুলে নেওয়ায় ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাসের হানার ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

রকমারি পণ্য পরিবহনে টাটা উদ্বোধন করলো এলপিটি-৪০৭ পিকআপ

Avatar photo

Published

on

বিশ্বে প্রথম সারির অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক টাটা মটরস এর অনুমোদিত পরিবেশক নিটল মটরস বাংলাদেশে LPT.407 পিকআপের জন্য বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন ধরনের বড়ি সহ গাড়ির উদ্বোধন করেছে এবং সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশের বানিজ্যিক গাড়ির জগতে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।

গাড়িটি পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ ধরনের মজবুত লোড বডিসহ। যার মধ্যে রয়েছে কাভার্ড ভ্যান, এলপিজি ক্যারিয়ার, পোলট্রি ক্যারিয়ার, স্ট্যান্ডার্ড এবং হাই ডেক। লজিস্টিক, পরিবহন এবং বিতরণ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এই গাড়ি ব্যবহার করা যাবে।

সোমবার রাজধানীর গুলশানের শুটিং ক্লাববে এ শুভ উদ্বোধন করা হয়,পাঁচ ধরনের লোড বডি সম্বলিত মাল্টিপারপাস পিক-আপটি রকমারি পণ্য পরিবহনের জন্য, অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।

উদ্বোধন বিষয়ে, জনাব অনুরাগ মেহরোত্রা, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি, কমার্শিয়াল ভেহিকেল বিজনেস, টাটা মটরস বলেন, “সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশে তৈরি Tata LPT 407 এর বিভিন্ন ধরনের বড়ি উদ্বোধন করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। ক্রেতাদের প্রয়োজন এবং আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা গাড়িগুলো বাজারে এনেছি। নানা রকমের লোড বড়ির অপশন এবং ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতাসহ, TATA T 407 দেয় বহুমুখী ব্যবহার উপযোগিতা, অধিক নির্ভরযোগ্যতা এবং বেশি দক্ষতা। যার ফলে মুনাফা বৃদ্ধি পায় এবং খুব সহজে গাড়ির মালিক হওয়া যায়। গাড়িটির মজবুত ডিজাইন, সেরা পারফরম্যান্স এবং আকর্ষণীয় প্যাকেজ গ্রাহকদের ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। আমাদের লক্ষ্য হল পণ্য পরিবহনের জন্য গ্রাহকদের একটি পরিপূর্ণ সমাধান প্রদান করে তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করা, যা গুণগতমান এবং বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কিত আমাদের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে।”

আপ্লিকেশন ভেহিক্যালস উদ্বোধন সম্পর্কে নিটল মটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মাতলুর আহমাদ বলেন, “তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে টাটা মটরসের সৃজনশীল পণ্য এবং সেবাগুলো এদেশে খুব ভালোভাবে সমাদৃত হয়েছে। টাটা মটরসের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব দেশের অসংখ্য ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমি আত্নবিশ্বাসী যে, আমাদের সম্মানিত গ্রাহকরা LPT 407 এর আপ্লিকেশন ভেহিক্যালস ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।”

নিটল মটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল মুসাব্বির আহমাদ বলেন, “ আমরা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশে নির্মিত LPT 407 এর ব্যবহারিক সমাধানগুলো চালু করতে পেরে আনন্দিত। স্থানীয় বাজার সম্পর্কিত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, আমরা উন্নতমানের মেড ইন বাংলাদেশ লোড বডি তৈরি করেছি যা গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে ভালোভাবে পূরণ করবে। যেহেতু এটি ক্রয় করার পরপরই ব্যবসার কাজে লাগানো যাবে, তাই এই রেডি টু ইউজ গাড়িগুলো দেশের ফ্লিট মালিকদের জন্য নিয়ে আসবে দুর্দান্ত সুবিধা। আমরা বিশ্বাস করি। যে, নতুন এই পণ্যগুলো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যানবাহনের জগতে বিপ্লব ঘটাবে।”

নিটল নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মারিব আহমাদ বলেন, “আজ থেকে নিটল মটরস বডিসহ ট্রাক বিক্রি শুরু করবে, ধীরে ধীরে সব যানবাহন সম্পূর্ণ লোড বডিসহ বিক্রি হবে। এটি আমাদের জয়েন্ট ভেঞ্চারে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় ব্যবহার উপযোগী উন্নত মানের লোড বডি সম্পন্ন এই গাড়িগুলো হবে গ্রাহকদের ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার কার্যকর সমাধান। এর মধ্যে রয়েছে 13m3 এর বৃহৎ কার্গো লোডিং এরিয়া সহ কাভার্ড জ্ঞান, দক্ষতার সাথে গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারির জন্য এলপিজি ক্যারিয়ার, নিরাপদভাবে পোলটি পরিবহনের জন্য পোলট্রি ক্যারিয়ার, সাধারণ পণ্যদ্রব্য পরিবহনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডেক গাড়ি এবং অধিক বহন ক্ষমতার হাই ডেক গাড়ি। প্রয়োজন অনুযায়ী বডিসহ এই গাড়িগুলোতে থাকছে এক বছরের ওয়ারেন্টি, ফলে গ্রাহকেরা মানসিক প্রশান্তির সাথে এগুলো পরিচালনা করতে পারবে।

শক্তিশালী যন্ত্রাংশে তৈরি Tata LPT 407 গাড়ি 2956cc ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা GBS-27 সিঙ্কোমেশ গিয়ারবক্সের সাথে যুক্ত। ফলে এটি 75Ps শক্তি এবং 225Nm টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। গাড়িটিতে রয়েছে 12 ফুট দীর্ঘ ডেক। আকর্ষণীয় বিক্রয় প্যাকেজ এবং সহজে পরিশোধ যোগ্য কিস্তির Tata LPT 407 এখন থেকে সারাদেশে নিটল মটরসের অনুমোদিত সেলস সেন্টার ও ডিলার পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

১২৮ বিলিয়ন ডলারের টাটা গ্রুপের অংশ টাটা মটরস লিমিটেড, যেটি বর্তমানে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের অটোমোবাইল প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিনিধিত্বকারী কোম্পানি, যা কার, ইউটিলিটি ভেহিক্যালস, পিকআপ, ট্রাক, এবং বাস তৈরি করে, পাশাপাশি প্রদান করছে বিভিন্ন ধরনের সমন্বিত, স্মার্ট ওই মোবিলিটি সল্যুশনস। কানেক্টিং এসপিরেশন্স” এই প্রতিপাদ্যকে ব্রান্ড প্রমিসের মূল জায়গায় রেখেছে টাটা মটরস এবং এটি বর্তমানে ভারতের বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে মার্কেট লিডার ও প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে প্রথম তিনের মধ্যে অবস্থান করছে।

টাটা মটরস সবসময়ই চেষ্টা করে আসছে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে, যেগুলো নতুন প্রজন্মের ক্রেতাদের কল্পনাকে নাড়া দেবে এবং এই গাড়ি গুলোর ডিজাইন করা হয় স্টেট অফ দ্যা আর্ট ডিজাইন এবং আর এন্ড ডি সেন্টারগুলোতে (ইন্ডিয়া, ইউকে, ইউএস, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত)। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি নির্ভর অটোমোটিভ সল্যুশন উপর গুরুত্ব প্রদান করে, কোম্পানি তার উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উদাহরণমূলক প্রযুক্তি তৈরির জন্য ব্যবহার করছে যেগুলো হবে স্থায়ী এবং মার্কেট ও গ্রাহকদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। টাটা মটরস ইন্ডিয়াতে ইলেকট্রিক গাড়ির রূপান্তর ব্যবস্থার প্রবর্তক।

একটি শক্তিশালী গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাটা মটরস তার অপারেশন চালাচ্ছে ইন্ডিয়া, ইউকে, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা এবং ইন্দোনেশিয়ায়, টাটা মটরসের বাণিজ্যিক ও প্যাসেঞ্জার,ভেহিক্যালগুলো বাজারজাত হচ্ছে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ,আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য CIS,দেশগুলোতে,নিটল নিলয় গ্রুপের প্রধান অংগ সংস্থা হলো নিটল মটরস লিমিটেড, যা ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশে টাটা,মটরসের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। এবং সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশের বানিজ্যিক গাড়ির জগতে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।

Continue Reading

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টেকনোলজি পল্লীর সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

টেকনোলজি পল্লীর সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোর্সের (২০২১-২০২২) প্রশিক্ষণ প্রদান করে “টেকনোলজি পল্লী”।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রশিক্ষণ শেষে জমকালো ও আনন্দঘন পরিবেশে আজ রবিবার সার্টিফিকেট গিভিং সিরমনি ও লাঞ্চ পার্টির আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা যায়, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের একদল উদ্যমী তরুণ। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই পর্যন্ত একশতাধিক জব প্লেসমেন্ট করা হয়েছে।

সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আর্মি আইবিএ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আফজাল হোসাইন,
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আল-আমিন নিপু, টেকনোলজি পল্লীর কর্ণধার ও সিইও নেজাম উদ্দিন সোহেল, ম্যানেজার তুষার হালদার তন্ময়সহ সম্পূর্ণ টিম ও ছাত্রছাত্রীরা।

Continue Reading

Highlights

চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলছে ‘চিপ-যুদ্ধ’ – কে এগিয়ে?

Avatar photo

Published

on

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধ, কূটনৈতিক বিবাদ আর নানা দেশের জোট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে একটি কারণে-তেল। কিন্তু এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটো অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে আরেকটি বহুমূল্য সম্পদের জন্য – সেটি হচ্ছে সেমিকণ্ডাকটর বা চিপস, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহার্য নানা জিনিসে শক্তি যোগায়।

একটুখানি সিলিকনের টুকরো দিয়ে তৈরি এই চিপসের বাজার কিন্তু মোটেও ক্ষুদ্র নয়। সারা দুনিয়াব্যাপী ৫০,০০০ কোটি ডলারের বাজার এই সেমিকণ্ডাকটরের – যা আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ ফুলে-ফেঁপে দ্বিগুণ আকার নেবে। এই চিপস তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কোম্পানি, নানান দেশ।

এদের জটিল নেটওয়ার্ক এমনভাবে একটির সাথে আরেকটি যুক্ত যে সোজা কথায় – এই সরবরাহ ব্যবস্থা বা ‘সাপ্লাই চেইনের’ নিয়ন্ত্রণ যার হাতে থাকবে, তার হাতেই উঠবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি হয়ে ওঠার চাবিকাঠি। এই প্রযুক্তির বেশির ভাগই আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। তবে সমস্যা হলো, এখন এই চিপ তৈরির প্রযুক্তি হাতে পেতে চাইছে চীন। ফলে আমেরিকানরা চাইছে যেন কিছুতেই তা না হতে পারে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এ দুটি দেশ যে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত – তা অনেকেই জানেন। কিন্তু এই চীন-মার্কিন লড়াইয়ের আরো একটি দিক আছে – বলছেন ক্রিস মিলার, টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যিনি সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন “চিপ ওয়ারস” নামে।

তার কথায়, এতকাল ধরে এই চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন “জাহাজ বা ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যার মত ক্ষেত্রে চলেছে, কিন্তু এখন এ লড়াইটা কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার (এআই) এলগরিদমগুলো কারটা কত ভালো – সেই ক্ষেত্রেও চলছে, যা মিলিটারি সিস্টেমগুলোতে ব্যবহার করা যাবে।”

এখনকার মত অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এগিয়ে আছে। কিন্তু চীনের বিরুদ্ধে তারা এর মধ্যেই যে ‘চিপ যুদ্ধ’ ঘোষণা করে দিয়েছে তা এখন বিশ্ব অর্থনীতিকেই নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছে।

কত জটিল এই ‘চিপ-মেকিং’-

সেমিকন্ডাকটর তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ ধরনের জ্ঞান এবং এর উৎপাদনের সাথে অন্য অনেকগুলো বিষয় গভীরভাবে জড়িত। একটা আইফোনের ভেতরে যে চিপগুলো থাকে তা ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, এগুলো তৈরি হয় তাইওয়ান, জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ায়, এর পর সেগুলো এ্যাসেম্বলিং বা একসাথে সন্নিবেশ করার কাজটা হয় চীনে।

তবে ভারত এখন এই শিল্পে আরো বেশি বিনিয়োগ করছে এবং তারা হয়তো আগামী দিনগুলোতে আরো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সেমিকন্ডাকটর আবিষ্কৃত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর উৎপাদন বা ম্যানুফ্যাকচারিং-এর কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। এর একটা কারণ ছিল সরকারি ভর্তুকিসহ নানারকম প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ।

এর ফলে ওয়াশিংটন এমন একটি অঞ্চলের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং কৌশলগত জোট গড়ে তুলতে পেরেছে – যে জায়গাটি স্নায়ুযুদ্ধের সময় রুশ প্রভাবের চাপের মুখে ছিল। এখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব বাড়ছে – কিন্তু ওয়াশিংটনের জন্য সেই পুরোনো সম্পর্ক এখনও কাজ দিচ্ছে।

যত ছোট, তত ভালো-

চিপ তৈরির ক্ষেত্রে মূল প্রতিযোগিতাটা হচ্ছে এর আকার এবং কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে । সবাই চাইছে সবচেয়ে দক্ষ এবং সেরা চিপ বানাতে। অন্যদিকে এগুলো আকারে যত ছোট হবে, ততই ভালো। চিপগুলোর ভেতরে থাকে ট্রানজিস্টর – যাকে বলা যায় অতিক্ষুদ ইলেকট্রিক সুইচ – যা বিদ্যুতের প্রবাহকে চালু করতে বা বন্ধ করতে পারে।

চ্যালেঞ্জটা হলো – একটা অতি ক্ষুদ্র সিলিকনের টুকরোর মধ্যে আপনি কতগুলো ট্রানজিস্টর বসাতে পারেন, সেইখানে।সেমিকণ্ডাকটর শিল্পে এটাকে বলে “মূর’স ল” – যার মুল কথা একটা সময়ে চিপে ট্রানজিস্টরের ঘনত্ব দ্বিগুণ করা। এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ – বলছেন জু ওয়াং, সিলিকন ভ্যালির বেইন এ্যান্ড কোম্পানির একজন অংশীদার।

“এটা করতে পারলেই আমাদের ফোনগুলোকে আমরা আরো দ্রুতগতিতে কাজ করাতে পারি, আমাদের ডিজিটাল ফটোর সংগ্রহকে আরো বড় করতে পারি, আমাদের স্মার্ট ডিভাইসগুলোকে করে তুলতে পারি আরো বুদ্ধিমান এবং আমাদের সামাজিক মাধ্যমের কনটেন্টগুলোকে করতে পারি আরো সমৃদ্ধ । “

এ কাজটা কিন্তু – এমনকি পৃথিবীর শীর্ষ চিপ প্রস্তুতকারকের জন্যও – মোটেও সহজ নয়। গত ২০২২ সালের মাঝামাঝি স্যামসাং বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে তিন ন্যানোমিটারের মাপে চিপস ব্যাপকহারে উৎপাদন শুরু করে।

এর পরেই এ স্তরে পৌঁছায় তাইওয়ানের টিএসএমসি নামের সেমিকন্ডাকটর উৎপাদনকারী কোম্পানি। তারা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চিপ প্রস্তুতকারক এবং এ্যাপল কোম্পানির অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। এখন, আমরা বলছি তিন ন্যানোমিটার মাপের চিপ। এর মানে জিনিসটা কত সরু?

একটা তুলনা দেয়া যাক- মানুষের এক গাছা চুল হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০,০০০ ন্যানোমিটার। বুঝতেই পারছেন – এর চাইতে অনেক অনেক সরু স্যামসাং-এর নতুন এই চিপ। এগুলোকে বলা হচ্ছে ‘লিডিং এজ’ চিপ যা অনেক বেশি শক্তিশালী এবং অনেক মূল্যবান জিনিসের ভেতরে এগুলো বসানো হয়, যেমন সুপারকম্পিউটার এবং কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ডিভাইসে।

বর্তমানে সাধারণ মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন, বা রেফ্রিজারেটরের ভেতরে যে চিপ থাকে তাকে বলা হয় ‘ল্যাগিং এজ’। এর বাজারও অনেক বড় এবং লোভনীয় কিন্তু মনে করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে এই চিপের চাহিদা আর তেমন থাকবে না।

‘চিপ মেকার’দের শীর্ষে তাইওয়ান-

তাইওয়ান দ্বীপটিকে চীন তার নিজের অংশ বলে মনে করে। তবে এ হুমকির মুখে স্বশাসিত এই দ্বীপটিকে সুরক্ষা দিচ্ছে চিপ তৈরির ক্ষেত্রে তার এই অবস্থান – যাকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট অভিহিত করেছেন “সিলিকন শিল্ড” বলে।

বেজিংও এখন চিপ তৈরিকে তাদের একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা সুপারকম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে।

ক্রিস মিলার বলছেন, চিপ তৈরিতে চীন এখনো বিশ্বের এক নম্বর হবার ধারেকাছেও নেই, কিন্তু গত দশকে তারা এব্যাপারে অনেকটা এগিয়ে এসেছে – বিশেষ করে চিপের ডিজাইনিং-এর সক্ষমতার ক্ষেত্রে।

তিনি বলছেন, “ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে যখনই কোন শক্তিশালী দেশের হাতে সর্বাধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি এসেছে তখনই তারা বুদ্ধিমত্তা এবং অস্ত্র পরিচালনা পদ্ধতিতে তা ব্যবহার করেছে।“

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এ দুটিই উদ্বেগের কারণ। একটি হলো, চিপ তৈরিতে চীনের এগিয়ে যাওয়া , আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে সরবরাহের জন্য তাইওয়ানের মত এশিয়ার দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা।

চীনের অগ্রগতি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কী করছে?

চিপ তৈরির প্রযুক্তিতে চীনের প্রবেশ ঠেকানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। গত অক্টোবর মাসে ওয়াশিংটন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছু বড় বড় পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে কোম্পানিগুলোর জন্য চীনের কাছে চিপস, চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি এবং মার্কিন সফটওয়্যার বসানো প্রযুক্তি বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে – তা সেই কোম্পানি পৃথিবীর যে দেশেরই হোক না কেন।

এ ছাড়াও ওই আইনে মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য চীনের বিশেষ বিশেষ কিছু ফ্যাক্টরিতে “চিপ উন্নয়ন বা উৎপাদনে” সহায়তা দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এটি চীনের ওপর এক বড় আঘাত – কারণ তারা তাদের সদ্য শুরু হওয়া চিপ-উৎপাদন শিল্পের জন্য হার্ডওয়্যার এবং প্রযুক্তিবিদ – দুটিই নিয়ে যাচ্ছে।

এর ফলে নেদারল্যান্ডসের একটি কোম্পানি এএসএমএল – চীন থেকে যে রাজস্ব আয় করতো তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ হারাতে যাচ্ছে। এটিই হচ্ছে একমাত্র কোম্পানি যারা সর্বাধুনিক লিথোগ্রাফিক মেশিন তৈরি করে – যেসব যন্ত্র ‘লিডিং এজ’ চিপ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রিভিয়াম চায়নার একজন বিশ্লেষক লিংহাও বাও বলছেন, “এ ক্ষেত্রে প্রতিভাবান লোকের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি চীনের সেমিকন্ডাকটর কোম্পানিগুলোর নির্বাহীদের দিকে তাকান, দেখবেন তাদের অনেকেই আমেরিকান পাসপোর্টধারী। তাদের অনেকে আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে, তাদের গ্রিনকার্ড আছে। কাজেই চীনের জন্য এখন এক বিরাট সমস্যা তৈরি হয়েছে।“

তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র নিজেও এখন আরো বেশি চিপ তৈরি করতে চায়। “চিপস এ্যান্ড সায়েন্স” আইনে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব কোম্পানি সেমিকন্ডাকটর তৈরি করছে তাদেরকে ৫,৩০০ কোটি ডলার ঋণ ও ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি এর সুবিধা নিচ্ছে।

তাইওয়ানের টিএসএমসি যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ৪০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে – যা তাদের নিজ দেশের বাইরে একমাত্র কারখানা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সবচেয়ে বড় মেমোরি চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রন। তাদের তৈরি চিপ সুপারকম্পিউটার, সামরিক হার্ডওয়্যার এবং প্রসেসর আছে এমন যে কোন যন্ত্রের জন্য অতি জরুরী।

তারা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে নিউইয়র্ক রাজ্যে তারা আগামী ২০ বছরে চিপ তৈরির কারখানা নির্মাণের জন্য প্রায় ১০,০০০ কোটি ডলার খরচ করবে।

মাইক্রন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন সঞ্জয় মেহরোত্রা। তিনি বলছেন, চিপ তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় খরচের ক্ষেত্রে যে ব্যবধান তা কমিয়ে আনতে এই আইনটি ভূমিকা রাখছে।

এ ক্ষেত্রে চীন কী করতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধগুলো চীনের স্বার্থে বড় আঘাত হেনেছে। সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে যে এ্যাপল কোম্পানি এসব বিধিনিষেধের কারণে চীনের অন্যতম সফল চিপ উৎপাদনকারী কোম্পানি ইয়াংজি মেমোরি টেকনোলজিস কর্পোরেশন (ওয়াইএমটিসি)-র কাছ থেকে চিপ কেনার এক চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে।

মি. বাও বলছেন, হুয়াওয়ের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় এক্ষেত্রে কী ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। হুয়াওয়ে কোম্পানিটি একসময় স্যমসাং-এর পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা হয়ে উঠছিল কিন্তু এখন তারা ‘কার্যত মৃত’ – বলছেন মি. বাও।

“এতে বোঝা যায়, ওয়াশিংটনের জন্য একটি চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিকে পঙ্গু করে দেয়া কত সহজ। চীনের হাতে এর জবাব দেবার খুব ভালো কোন উপায় আসলে নেই। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানিকে টার্গেট করছিল কিন্তু এখন পুরো দেশটিকেই এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। “

প্রশ্ন হচ্ছে যে এর জবাবে চীন কী করতে পারে-

চীনের অর্থনীতি এখন গুরুতর মন্দার সম্মুখীন। এ অবস্থায় পণ্য বা সেবা প্রত্যাহার করা বা নিজেদের রপ্তানিতে কোন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে তা ভালোর পরিবর্তে খারাপ ফল নিয়ে আসতে পারে।

এ ব্যাপারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে অভিযোগও করেছে চীন। কিন্তু এর নিষ্পত্তি হতে অনেক বছর লাগতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে চীন তার অভ্যন্তরীণ চিপ-উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ ও সহায়তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে।

অক্টোবর মাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ আভাসই দিয়েছেন।

তিনি এসময় ‘জাতীয় কৌশলগত প্রয়োজনগুলোর দিকে মনোনিবেশ করা’, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিজস্ব গবেষণা জোরদার করা’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রযুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে লড়াইয়ে জয়লাভ করার’ কথা উল্লেখ করেছেন।

এর পর কী হতে যাচ্ছে?

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়া, মুদ্রাস্ফীতি এবং কোভিড-বিধিনিষেধ থেকে চীনের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে উন্মুক্ত হওয়া – এগুলোই হচ্ছে চিপ শিল্পের সামনে স্বল্পমেয়াদী চ্যালেঞ্জ। চীন এ জন্য সাবধানে সামনের দিকে এগুতে চাইবে।

মি. মিলার বলছেন, চিপের ক্ষেত্রে শুধু উচ্চতম প্রযুক্তির স্তরেই দেখা যাবে যে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে উদ্ভাবনের নেটওয়ার্কগুলোর বাইরে রাখার চেষ্টা করছে। তা ছাড়া চীন চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত একটি নিজস্ব সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।

মি. মিলার বলছেন, এর ফলে একদিকে চীন, অন্যদিকে বাকি বিশ্ব – এরকম একটা বিভক্তি দেখা দিতে পারে।

সেক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব হবে ব্যাপক। অনেক কোম্পানিকে হয়তো কোন একটা পক্ষ নিতে হবে, অনেকে হয়তো চীনের বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

Continue Reading