জাতীয়
খালেদার মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ জুলাই
স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা এই দুই মামলার সাক্ষ্য কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বখশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ দিনের কার্যক্রমের শুরুতেই তাঁর আইনজীবীরা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের শুনানি মুলতবি চেয়ে সময় আবেদন করেন।
এ ছাড়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদী ও সাক্ষী দুদক কর্মকর্তাকে জেরা করেন তারা। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি আবেদন মঞ্জুর করে ২৩ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
শুনানি শেষে খালেদার আইনজীবীরা বলেন, ‘আমরা আদালতে জানিয়েছি, জিয়া অরফানেজ মামলায় বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে বেআইনিভাবে এক নাম্বার সাক্ষী করা হয়েছে। আদালত সেটা মঞ্জুর করে সাক্ষীকে জেরা করতে বলেছেন।’
দুর্নীতির মামলা দু’টি ট্রাস্ট আইনে না করে দুদক আইনে দায়ের কতোটা যৌক্তিক, জেরাকালে আদালতে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। তবে দুদক আইনের আওতাধীন হওয়ায় মামলাটি এই আইনে দায়ের হয়েছে বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। তারা বলেন, ‘এটা দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হয়েছে এ কারণে যে, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠনের নামে এখানে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।’
এই দুই দুর্নীতি মামলার ৬৭ কার্যদিবসে এ নিয়ে মোট ৯ দিন হাজিরা দিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তার হাজিরাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।