রাজনীতি
খালেদা জিয়ার আদেশ আগামীকাল
দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। এটর্নি বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হলে মূল আপিলের আর কখনো শুনানি হবেনা। হাইকোর্ট চারমাসের মধ্যে পেপারবুক করার নির্দেশ দিয়েছ। আপিল বিভাগ সেটি কমিয়ে দুই মাস করে দিতে পারে। পেপারবুক প্রস্তুত হলেই মূল আপিলের শুনানি করতে হবে। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যের পর খালেদা জিয়ার পক্ষে এ জে মোহাম্মদ শুনানি শুরু করেন।
এদিকে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রধান ফটকসহ আদালত ভবনে প্রবেশের সব ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনজীবী ও সাংবাদিকদেরকে কার্ড প্রবেশের পর অনেককে আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
গত সোমবার হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয়। পরে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ওইদিন লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেয় আদালত।
লিভ টু আপিলে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বাতিল চেয়েছে। পাশাপাশি আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেয়া ওই রায়ের পর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।