জাতীয়
গুপ্তহত্যায় বিএনপি-জামায়াত যুক্ত, এ নিয়ে সন্দেহ নেই : প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মাদারিপুরের ঘটনার পর আর এ বিষয়ে দেশের মানুষের কোন সন্দেহ নেই যে বিএনপি-জামায়াতই সকল গুপ্তহত্যার সঙ্গে যুক্ত। কলেজ শিক্ষক হত্যা প্রচেষ্টায় যুক্ত এবং জনগণের হাতে আটক সন্ত্রাসীর পরিচয়-সে একজন শিবির কর্মী।’
প্রধানমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ান (ডিইউজে) এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত উভয়েই প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যায় সিদ্ধহস্ত। এটাই তাদের চরিত্র। তারা জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে এবং ব্রিটিশ এমপি টিউলিপকে যুক্তরাজ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সব যুদ্ধাপরাধী লন্ডনে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তারাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে লন্ডনে অবস্থানরত বেগম জিয়ার পুত্র এবং বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, ‘একজন কুলাঙ্গার ছেলে যে, লন্ডনে বসে আছে। ব্রিটিশ সরকার কেন তাকে সেখানে জায়গা দিয়েছে জানিনা।’
বাংলাদেশে কখনও জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জায়গা হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গণমাধ্যমে পরিপূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সুতরাং এই স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে তাদেরর কিছু দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, মহাসচিব ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সম্পাদকবৃন্দ, জেষ্ঠ্য সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিএফইউজে এবং ডিইউজে’র সদস্যবৃন্দ ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
ইফতারের পূর্বে সমগ্র দেশ-জাতি এবং মুসলিম উন্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।