Connect with us

জাতীয়

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যা ঘটেছিল

Published

on

বিডিপি ডেস্ক:
গত বুধবার সকালে কুমিল্লায় ‘কোরআন অবমাননার’ খবর স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা ছড়ায় ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মারা যায় ৪ জন। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার হারুনুর রশিদ রাতে বলেন, এসব মামলায় দুই হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

এদিকে হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনার পর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ওই সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের মরদেহ বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কুমিল্লায়ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

Hajiganj

জানা যাচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনার জেরে বুধবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে চারজন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর রাত ১১টা থেকে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৪ জন হলেন- হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের আল আমিন (১৮), রান্ধুনীমুড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ইয়াছিন হোসেন (১৫), একই এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে শামীম (১৯) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাবলু (৩০)। গতকাল বিকেলে তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা কাউকে উদ্দেশ্য করে গুলি করিনি। মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর হামলার চালানো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩৯টি গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *