রাজনীতি
জীবিত নেতার নামে বিএনপির শোকবার্তা; তােলপাড়
এদিকে বিএনপির এ নেতা জীবিত থাকলেও দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তার রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে গণমাধ্যমে শোক বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তার এমন শোক বার্তা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশব্যাপি তোলপাড় শুরু হয়েছে।
একজন জীবিত ব্যক্তির নামে দলের সর্বোচ্চ নেতা শোকবার্তা পাঠিয়েছেন তাই মুখ ফুটে কেউ কিছু না বললেও স্তব্ধ হয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক নেতা। ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, বিএনপিকে হেয় করার জন্য যারা জঘণ্য এ কাজ করেছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।
গণমাধ্যমে জীবিন নেতার নামে খালেদার শোকবার্তা প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপির অনেক নেতাকে প্রতিপক্ষের কাছে হেয় অপদস্থ হতে হয়েছে বলেও এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন নেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত শোক বার্তাটি জনিকে না জানিয়েই নয়াপল্টন কার্যালয়ের কর্মকর্তা রেজাউল গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন। এমন বার্তা পাঠানোর পর তিনি (রেজাউল) তার ব্যক্তিগত ও অফিসের মোবাইল বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে আবদুল লতিফ জনি বলেন, বিএনপি নেতাদের পদবী অনুসারে নয়াপল্টনে শোকবার্তা তৈরি করা আছে। তবে আমাকে না জানিয়েই রেজাউল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত না করে গণমাধ্যমে শোকবার্তা পাঠিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।
এমন ঘটনা তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাকে হেয় করতে উদ্দেশ্যপ্রণীত ভুলের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন যদি আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ হন তাহলে তার সব সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবো।
এদিকে নয়াপল্টন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নব মনোনীত রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরে খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে আবদুল লতিফ জনির। সমালোচকরা মনে করেন, দীর্ঘদিন নয়াপল্টন গড়ে তোলা রিজভীর সিন্ডিকেট জনিকে হেয় করতে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে রিজভীকে সােমবার সন্ধ্যার পর থেকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পাশাপাশি নব মনোনীত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।