জাতীয়
জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপি-জামায়াত জনসমর্থন পাবে না-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বোমা মেরে ছোট্ট শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, সাধারণ মানুষ খুন করছেন, কী বীভৎস ঘটনা। তার একটি সমবেদনাও নাই, একটি কথাও নেই। ওনার নেতাকর্মীরা নির্যাতিত তাদের জন্য সমবেদনা আর যারা এই জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদেরকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সংলাপের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনার সঙ্গে কিসের সংলাপ। তার হাতে রক্ত, পোড়া মানুষের গন্ধ। খুনির সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আদালত সমন জারি করেছেন, কিন্তু তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন না। তার যদি আদালতের প্রতি এতটুকু বিশ্বাস থাকে তাহলে অবশ্যই তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। অথচ তিনি আত্মসমর্পণ না করে অফিসে বসে আছেন। আইন মানবেন না, আদালত মানবেন না, কিছুই মানবেন না। তাহলে কিভাবে দেশের মানুষ আইন মানবে।”
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া সরকারকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ‘মিথ্যা’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া যে কষ্ট দিচ্ছে , তা যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়, তার জন্য যা যা করার তা করব।”
তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষার্থীরা যেন পরীক্ষা দিতে না পারেন সেই ব্যবস্থাই তিনি করেছেন। তাদের দিকে তিনি ফিরে তাকিয়ে দেখেননি। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধা দিতে যারা বোমা হামলা করেছে যারা অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে তাদেরকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।”
নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “সালাহউদ্দিন আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে বিবৃতি দিচ্ছিলেন, সবাই জানে তিনি গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকেই বিবৃতি দিয়েছেন।” ‘আমরা সালাহউদ্দিনকে খুঁজছি। পুলিশ তাকে পেলেই গ্রেফতার করবে,’—যোগ করেন তিনি। সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন।