রাজনীতি
দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন মুহিত
অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়টি না জেনে আন্দোলনে নেমেছেন এ বিষয়টি যেভাবে বলার দরকার ছিল আমি সেভাবে বলতে পারিনি। যেভাবে বলেছি তা তাদের জন্য অপমানজনক। আমার বক্তব্যে যদি তারা দুঃখ পেয়ে থাকেন আমি সে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষকরা সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়টি না জানায় বিস্ময় প্রকাশ করেন মুহিত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র ওপর আরোপিত ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কোনোক্রমেই এটা প্রত্যাহার করা হবে না। এই ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। আর ভ্যাট ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানো ঠিক হবেনা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে নতুন পে-স্কেল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বেতনের জন্য আন্দোলন করছেন। তাঁদের কর্মবিরতির কোনো যুক্তি নেই। তাঁরা জানেনই না যে নতুন বেতন কাঠামোতে তাঁদের জন্য কী আছে আর কী নেই।
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে শুধু অনভিপ্রেত নয়, অসংলগ্ন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক নেতারা। বস্তুতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের কারণেই তিনি এরূপ দায়িত্বহীন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করেন শিক্ষকেরা। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষক নেতারা গতকাল অর্থমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রত্যাহারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামও দিয়েছিলেন। মন্ত্রী আলটিমেটামের সময়ের মধ্যেই নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন।
বাংলাদেশেরপত্র/ এডি/ আর