Connect with us

খুলনা

নিয়ন্ত্রনহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ে বাড়ছে ঝুঁকি

Published

on

সাজ্জাদুল ইসলাম,খুলনা

নিয়ন্ত্রনহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ে বাড়ছে ঝুঁকি। উন্নয়নের মহা সড়কে বাংলাদেশ অন্যান্য সকল খাতের মত উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে জ্বালানী খাতে।এক সময়ের কাঠ কয়লার চুলা ছেড়ে অনেকে এখন ব্যবহার করছে ধোয়ামুক্ত এলপি গ্যাসের চুলা।এলপি গ্যাস এর ব্যবহার শহর ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে গ্রামে।কিন্তুু চিন্তার বিষয় এই জ্বালানি বিক্রয় ও এলপি গ্যাস সংরক্ষণের জন্য সরকার কর্তৃক যে আইন প্রনয়ন করা হয়েছে তা মানছেনা অধিকাংশ ব্যবসায়ী ফলে দুর্ঘটনার ঝুকি বাড়ছে, অনেক সময় ঘটছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনের মত ভয়াবহ ঘটনা। খুলনার রুপসা উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে বিভাগীয় বিস্ফোরক অধিদফতর ও পরিদর্শকের লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস।নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদি দোকান, প্লাষ্টিক সামগ্রীর দোকান,এমনকি মোবাইল-ফ্লেক্সিলোডের দোকানেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার।গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স গ্রহণের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার বিধান থাকলেও ব্যবসায়ীরা এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সাধারণ ব্যবসার মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন।গ্যস সিলিন্ডার সংরক্ষণের জন্যেও নাই বিশেষ গুদামঘরের ব্যবস্থা।আবার সিলিন্ডার বিক্রির জন্য নেই নিদ্রিষ্ট মূল্যতালিকা ঠকছে সাধারন ক্রেতা। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রুপসা বাজার,রহিমনগর বাজার, কাজদিয়া বাজার,রাজাপুর বাজার,সেনের বাজার,আব্দুলের মোড়,তেলির মোড়,বারো পূর্নের মোড়,বৌ বাজার,পালের বাজার সহ প্রায় ৬০টির ও বেশি দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকাংশ দোকানীর এলপি গ্যাস বিক্রির অনুমোদন নেই। আইন কানুন না মেনে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চলছে অহরহ। এসব দোকানে নেই আগুন নির্বাপক যন্ত্র। তাদের নেই প্রাথমিক বিপর্যয়ে রক্ষায় ড্রাই পাউডার ও সিও2 সরঞ্জাম। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জানা নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল ও আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। উল্লেখ্য গত মাসের ২৫তারিখ মহানগরের নিরালা আবাসিক এলাকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরনে মারাগেছে এক গ্যসবেলুন বিক্রেতা। এলপি গ্যাস এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। এ ধরনের পণ্য সংরক্ষণের জন্য বিশেষ গুদামঘরের প্রয়োজন হয়। তা না হলে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এই আইন অমান্য করলে যেকোনো ব্যবসায়ী নুন্যতম দুই বছর এবংঅনধিক পাঁচ বছরের জেল এবং অনধিক ৫০ হাজার টাকায় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আইন অনুযায়ী১০টির বেশি এলপি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার বা গ্যাসাধার রাখলে যেকোনো ব্যবসায়ীর বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর ‘দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪’-এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে ‘লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি মজুদ করা যাবে’ তা উল্লেখ আছে। বিধি অনুযায়ী, ‘১০ (দশটি) গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদকরণে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই’। অর্থাৎ ১০টির বেশি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। একই বিধির ৭১ নং ধারায় বলা আছে,আগুন নিভানোর জন্য স্থাপনা বা মজুদাগারে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখিতে হইবে। ’ এ বিষয়ে রুপসা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের ষ্টেশন অফিসার মোঃ তানভীর হাসানের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,রুপসা ফায়ার ষ্টেশন চলতি মাসের ১৫তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরুহয়েছে।এ পর্যায়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। যারা ঝুকিপূর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের অগ্নি নির্বাপন ও প্রতিরোধ আইন, লাইসেন্স গ্রহণের আইন ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবগত করছি। এ বিষয় রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃসজিবের সাথে কথাহলে তিনি জানান এলাকায় এখন অনেকেই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করছে তারা নিজেদের ও সাধারন এলাকাবাসীর কথা চিন্তা না করেই যত্রতত্র সিলিন্ডার রেখে ব্যবসা করছে, যদি কখন বিস্ফোরন হয় তবে অপুরণীয় ক্ষতিহয়ে যাবে। কয়েকজন খুচরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বেশির ভাগই আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবগত। তার পরও তদারকির অভাবে ঝূঁকি জেনেও তারা সনদ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে রুপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃইলিয়াছুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করাহবে। সচেতন মহলের দাবি বিস্ফোরনের হাত থেকে জনগনকে বাঁচাতে, জননিরাপত্তার স্বার্থে দুর্ঘটনা রোধে সকল অবৈধ এসব এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকান বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও গ্যাস ব্যবহারে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

j-thirteen,khulna

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *