দেশজুড়ে
পঞ্চগড়ে বিদ্যালয়ে পরকিয়ার জেরে দুই শিক্ষক বহিষ্কার
সোমবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত শনিবার ওই দুই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে সকল শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করলে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা বিশেষ সভা আহ্বান করে ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর থেকে হাজরাডাঙ্গা শহীদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রতন কুমার ও সহকারী শিক্ষিকা পার্বতী রাণী পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক ও অশোভন কর্মকান্ড করে আসছিলেন। গত বছর এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে তাদেরকে সতর্ক করে দেয় ম্যানেজিং কমিটি। কিন্তু তারপরও তাদের অনৈতিক সম্পর্ক চলতেই থাকে। এমনকি বিদ্যালয়েও তারা অশোভন কর্মকান্ড চালাদে থাকে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে ওই দুই শিক্ষক অপকর্ম করার সময় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখে ফেলে। গত শনিবার (১ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা ওই দুই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে ক্লাশ বর্জন করে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের সামনে জড়ো হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকেন। সভায় শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বিদ্যালয়ে অশোভন কর্মকান্ড করায় সহকারী শিক্ষক রতন কুমার ও সহকারী শিক্ষিকা পার্বতী রাণীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলীসহ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা বলা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক রতন কুমার ও শিক্ষিকা পার্বতী রাণীর কাছে জানতে চাইলে তারা নিজেদের পরিস্থির শিকার বলে জানান।
হাজরাডাঙ্গা শহীদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও বহু অভিযোগ উঠেছিল। আমরা রেজুলেশন করে তাদের সতর্ক করেও দিয়েছি। কিন্তু এরপরও তারা বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে অপকর্ম করেছে। তাই বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সাথে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।