দেশজুড়ে
পঞ্চগড়ে ১৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে লোক দেখানো পরীক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সরদারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দুটি পদে ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দেয়া হয়েছে। প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে লোক দেখানো পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়োগ বাণিজ্যে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথ বর্ম্মণের সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়েজিত ডিজি’র প্রতিনিধি পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেখা রানী দেবীরও যোগসাজশ রয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। রোববার (১২ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক পদে ৫জন এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়েজিত ডিজি’র প্রতিনিধি পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেখা রানী দেবীকে ম্যানেজ করে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষা শেষে মাত্র দশ মিনিটের মাথায় পছন্দের দুই প্রার্থী প্রধান শিক্ষক পদে মো. তহিদুল ইসলাম ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে মো. হাসিবুল ইসলাম উত্তির্ণ হন বলে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথ বর্ম্মণ যোগসাজশ করে তাদের পছন্দের দুই প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে আগাম ১৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিছেন।
প্রধান শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থী সরদারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম ও বড়দাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজলুল করীম এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থী তড়িয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. উসমান গণি জানান, আমরা আগে থেকেই জানি আমাদের চাকরি হবে না। পরীক্ষা দিয়েও কোন লাভ নেই। পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হলো শুধু লোক দেখানো।
একটি নির্ভরশীল সূত্র জানান, প্রধান শিক্ষক পদের বিপরীতে সভাপতি তহিদুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়েছেন ১৫ লক্ষ টাকা এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক পদের বিপরিতে হাসিবুল ইসলামের কাছে নিয়েছেন ৪ লক্ষ টাকা।
সরদারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক বিভিন্ন কৌশলে এ বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে এ বিষয়ে নিউজ না করার জন্য আপনাদের (সাংবাদিকদের সাথে) সাথে দেখা করবো বলে জানিয়েছেন।
নিয়োগ পরীক্ষার ডিজি’র প্রতিনিধি পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেখা রানী দেবী আপনারা সবই জানেন তারপরও প্রশ্ন করার কোন মানেই হয় না। নিউজ করে কি লাভ স্কুলের সভাপতির সাথে দেখা করেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।