Connect with us

রাজনীতি

বিএনপি হচ্ছে সাপ, সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে: তথ্যমন্ত্রী

Published

on

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে সাপ। যখনি সুযোগ পাবে ছোবল মারবে।

নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করে সরকার গঠন করে তবেই ঘরে ফিরতে হবে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি, জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তথ্য মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরাও এখন র‌্যাব,পুলিশসহ বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী। মন্ত্রী বলেন, আই এম এফ এর রিপোর্ট অনুযায়ী জিডিপিতে ৩৫ তম অর্থনীতির দেশ পৃথিবীতে ৩১ তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমাদের দল আজ যে সমাবেশ করছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সমাবেশগুলো আমরা করেছি, সেগুলো শান্তি সমাবেশ। আর নয়াপল্টন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি যে সমাবেশগুলো করছে সেগুলো হচ্ছে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সমাবেশ। এই হচ্ছে আমাদের সমাবেশের সঙ্গে তাদের সমাবেশের পার্থক্য।

তিনি আরও বলেন, তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আর বিদেশিদের পদলেহন করে কোনো লাভ হয়নি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সবসময় সতর্ক পাহারায়, সতর্ক অবস্থানে থেকে শান্তি সমাবেশ করার কারণে বিএনপি দেশে, ঢাকা শহরে অপচেষ্টা চালালেও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি।

ড. হাছান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে এবং র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশিক্ষণ দিতে চায়, সহায়তা করতে চায়। এটি হচ্ছে তাদের সর্বশেষ ঘোষণা। সুতরাং বিদেশিদের পদলেহন করে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি। আর আজ বিএনপি ৫৪ দল মিলে সমাবেশ করেছে, প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দল না ১৪ দল মিলে মঞ্চে ২৪ জন আর সামনে ছিল ১০ জন। আরো কয়েক জায়গায় বিএনপি সমাবেশ করেছে- দল হচ্ছে ১৪টা, মানুষ একশ এর বেশি নাই।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বলেছিল সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে যায় আর ওপারে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে। করোনার টিকার বিরুদ্ধেও বিএনপি অপবাদ দিয়েছিল। পরে নেতারা গোপনে টিকা নিয়েছে। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ খুশি কিন্তু বিএনপি খুশি না। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি কখন আপনারা মেট্রোরেলে চড়বেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর মির্জা আব্বাস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগ মুক্তি কামনা করি। মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু আর মির্জা আব্বাসসহ নেতাদের জন্য আমরা করোনার এক্সট্রা ডোজ রেখেছি। আপনাদের দরকার হলে এক্সট্রা ডোজ নেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, সরকারের বিরোধিতা করুন। কিন্তু দয়া করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবেন না। তাহলে দেশের মানুষ অতীতের মতোই আপনাদের প্রতিহত করবে। আর নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না এলে অন্য কতগুলো দলের মতো আপনারাও হাওয়ায় মিলিয়ে যাবেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *