শিক্ষাঙ্গন
বেরোবি’র সংকটে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
শিক্ষার্থী নির্ভর এই ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা ও কার্যক্রম এখন ক্রেতাহীন আর অলসতার একঘানি ভাঁড় জমেছে ।ব্যবসায় মন্দ অবস্থায় অনেকে দূর্দিন কাটাচ্ছে বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান,পূর্বের আয়ের এক-চতুর্থাংশও এখন আর আয় হয় না ।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবসায়ীদের থেকে স্টেশনারি,ফটোকপি,কম্পিউটার,বই ও খাতার ব্যবসায়ীদের অবস্থা বড়ই করুন ।কেননা এই ব্যবসায়ীরা মূলত শিক্ষার্থী নির্ভর ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ইউনিটি এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে প্রতিদিন খরচ বাদে ৫০০ -৬০০ টাকার মতো লাভ থাকতো কিন্তু এখন প্রতিদিন কোনোরকমে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হয় ।দোকানের ভাঁড়া এখনও বাকী আছে ।কবে ক্যাম্পাস খুলবে কেউ কিছু বলতেও পারছে না ।
পাশেই অবস্থিত সাফি এন্টারপ্রাইজের মালিকের কাছ থেকে জানা যায়,ব্যবসায় আয় না থাকায় দোকানের কম্পিউটার অপারেটর এই চাকুরি ছেড়ে শহরের কাচারি বাজারে একটা নতুন দোকানে চলে গেছে ।
এমতাবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সমাস্যা নিরসন করে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার আহবান জানান ।
পার্কমোড়,চকবাজার,সর্দারপাড়া কম্পিউটার ও ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃআবু শামা রঞ্জু বলেন,আমাদের ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবেই লাজুকজনক।আমরা চাই অতি তাড়াতাড়ি যেন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয় ।