ঢাকা বিভাগ
ভাঙ্গায় ভালবাসা দিবসে প্রেমিকাকে হত্যার চেষ্টা
জানাযায়, তিন বছর পূর্বে আতাউর ও সাবিনা ঢাকায় ভুক্তা অধিদপ্তরে চাকুরীর জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তাদের পরিচয়। সেই সূত্রে উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলা গোপালপুর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল ইসলামের পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ হয়। সেই থেকে সাবেক প্রেমিক আতাউরের আক্রোশ ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। যেখানে সাবিনা চাকুরী করে সেখানে গিয়ে আতাউর বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করত। সাবিনা সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের অধিনে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অফিস স্টাফ পদে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে চাকুরী করে আসছে।
চলতি মাসের ১২ তারিখে রাজবাড়ী থেকে বদলি হয়ে ভাঙ্গা উপজেলায় যোগদান করে সাবিনা। যোগদানের পর থেকে আতাউর সুযোগ খুজতে থাকে সাবিনাকে রুমে একা পাওয়ার।
মঙ্গলবার ভালবাসা দিবসটি বেছে নিয়ে সাবিনাকে অফিসে একা পেয়ে রুমে প্রবেশ করে ২/৩ মিনিটের মধ্যে একটি ৮/১০ ইঞ্চি চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা সাবিনাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাস্থল থেকে চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
ভাঙ্গা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আবু দাউদ খাঁন জানান, সাবিনা খাতুনের গলায়, বুকে,মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্রদিয়ে জখম করেছে।
এ দিকে আহত সাবিনা জ্ঞান ফিরলে এ প্রতিবেদককে বলেন,আতাউর আমাকে এক বছর যাবৎ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে,সে নাকি আমাকে ভাঙ্গায় বদলিও করিয়েছে,আর কিছু বলতে পারিনা।
সাবিনার স্বামী ঢাকার একটি রিয়েল এষ্ট্রেট কোম্পানিতে চাকুরী করেন,তিনি বলেন আমার স্ত্রীকে কুপানোর এক ঘন্টা পর আমাকে মোবাইলে হত্যা করবে বলে ভাঙ্গায় আসতে বলেন।
সাবিনার মা হাসিনা খাতুন বলেন,সাবিনা তিন মাসের অন্তসত্তা তারপরও বখাটে পিছু ছাড়ছেনা।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন থানায় মামলা হয়েছে আসামী ১জন, তার বাড়ী পাবনা জেলায় ভাঙ্গা আছে কিনা আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।