Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় এক নারীর সাথে ঢাকার মেয়ের প্রেমের গল্প

Published

on

nari_bdpঅনলাইন ডেস্ক: ভারতীয় এক নারীর প্রেমের টানে ঢাকার একটি মেয়ে ভারতের ইন্দোরে চলে যাওয়ার পর তারা এখন সেখানে একসাথে বসবাস করছে। এই ঘটনায় পুলিশকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিলো।
কিন্তু পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে সংসার করছে। ফলে পুলিশের আর কিছুই করার নেই। পরিবারটিও এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।
ভারতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম বলছে, এই প্রেমের সূচনা আজ থেকে চার বছর আগে, ২০১২ সালে। ফেসবুকে পরিচয় হয় ঢাকার মেয়ে জান্নাত আর মধ্য প্রদেশের নায়নার। তারপর তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। এবং এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক এতোটাই গভীর হয়ে উঠে যে কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারছিলো না।
পরের বছরেই ঢাকার মেয়েটি তল্পিতল্পাসহ চলে যায় ইন্দোরে। নায়না যে কলেজে পড়তো সেই একই কলেজে ভর্তি হয় জান্নাত।
শুধু তাই নয়, জান্নাতকে নিজেদের বাড়িতে রাখার ব্যাপারেও নায়না তার পরিবারকে রাজি করায়। একসময় নায়নার পিতামাতা তার জন্যে বর খুঁজে পায় এবং তাকে বিয়ের জন্যে চাপ দিতে থাকে। নায়না কিছুতেই ওই ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলো না। কিন্তু চাপাচাপিতে শেষ পর্যন্ত এক শর্তে পরিবারের পছন্দের ছেলেটিকে বিয়ে করতে রাজি হয় নায়না।
শর্তটি হচ্ছে বিয়ের পরেও জান্নাতকে তাদের সাথে থাকতে দিতে হবে। অদ্ভুত এই শর্তে প্রথমে বিস্মিত হয়েছিলেন নায়নার অভিভাবকরা। কিন্তু তারা এই শর্ত মেনে নেয় এই ভেবে যে সময়ের সাথে সাথে নায়নার আচরণ হয়তো একসময় ‘ঠিক’ হয়ে যাবে এই আশায়।
পরিবারটি জান্নাতের ঘটনা হবু স্বামীর কাছেও গোপন রাখে। স্থানীয় এক ছেলে মহেশের সাথে নায়নার বিয়ে হয়।
নববিবাহিত দম্পতি যখন হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা করে তখন নায়না বায়না ধরে যে জান্নাতকেও তাদের সাথে নিতে হবে। স্বামী মহেশও এতে রাজি হয়।
হানিমুনে তারা যখন গোয়ায় বেড়াতে যায় তখন জান্নাত ও নায়না মিলে মহেশকে হোটেল রুমের ভেতরে তালাবদ্ধ রেখে বাইরে ঘুরে বেড়াতো।
এবিষয়ে প্রশ্ন করলে নায়না তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করে পুলিশের কাছে। তদন্তের পর পুলিশ দেখতে পায় নায়না ও জান্নাত আসলে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এবং তারা একসাথে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছে।
পুলিশ দেখতে পায় জান্নাতের ফোনে নায়নার ফোন নম্বর সেভ করা ‘ওয়াইফ’ নামে আর নায়নার ফোনে জান্নাতের নম্বর ‘হাবি’ হিসেবে। ফোনে তাদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবিও পায় পুলিশ।
তদন্তে দেখা গেছে নায়নার পিতামাতাও জান্নাতের সাথে সম্পর্কটি মেনে নিয়েছে এবং তারা একসাথে নায়নার বাড়িতেই বসবাস করছে। একইসাথে মহেশের বিরুদ্ধে করা মামলাটিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *