Connect with us

জাতীয়

ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা : ১১ বছরেও শেষ হয়নি দুটি মামলার বিচার কাজ

Published

on

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘট২১শে আগস্ট গ্রেনেডনার দুটি মামলারই নিষ্পত্তি হয়নি ১১ বছরে। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বলছেন, নানা অজুহাতে আসামি পক্ষের সময় ক্ষেপণের পাশাপাশি বিতর্ক এড়াতে সরকারের তাড়াহুড়ো না করার নীতিই এর কারণ। তবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত জানিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি হবে ডিসেম্বরের মধ্যেই।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার বিচার হয়নি আজো। ১১ বছর আগে এ দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়।

এতে সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। আহত হন সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচশোরও বেশী নেতাকর্মী। ঘটনার পরের দিনই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্তের নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে, মামলার প্রথম তিন তদন্ত কর্মকর্তাও বিচারের মুখোমুখি।

প্রায় ৭ বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলার তদন্ত করেছেন মতিঝিল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের ২জন এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ৫ জন কর্মকর্তা। বিচার শুরুর পর সাড়ে চার বছরে আদালত বসেছেন ২৯৭ দিন। বিভিন্ন আবেদন নিয়ে আসামিপক্ষ হাইকোর্টে গিয়েছে ২৮২ দিন। ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ১৭৬ জনের ।

মামলার ৫২ জন আসামীর মধ্যে জেল হাজতে আছেন ৪ দলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ এবং প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৬ জন। জামিনে আছেন সাবেক ৩ পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ ৮জন। পলাতক আছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান অপ্রাসঙ্গিক নানান প্রশ্নসহ নানান অজুহাতে আসামিপক্ষ সময় ক্ষেপণ করেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভালো অগ্রগতি হলেও, শুরুতে মামলা এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রপক্ষের কিছু দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা ছিল বলে জানালেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।

রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নিষ্পত্তির পর্যায়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা দুজনই।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *