নিজস্ব প্রতিনিধি: মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ বিগত বাইশ বছর ধরে বাংলাদেশের আপমর জনতাকে জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতিসহ যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতন করে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক মহাযুদ্ধের আয়োজন চলছে। ইস্যু হিসাবে নেওয়া হয়েছে জঙ্গিবাদ। পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে আছে। সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় তারা মত্ত। আমাদের দেশেও একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার হীন উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে নিরাপদ রাখতে ষোল কোটি মানুষকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য। হেযবুত তওহীদ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রবিবার বাদ-মাগরেব সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক বিরাট ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরের পীরগাছার ছিদামহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মাহফিলের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদ রংপুর শাখা। মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসাবে হিসাবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মো. আফজাল খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তছলিম উদ্দিন, ২নং পারুল ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন, সাধারন সম্পাদক এবিএম মিজানুর রহমান সাজু, ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মো. মন্তাজুর রহমান জিল্লালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উক্ত মহফিলের সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস শামীম। অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত বিশ্বের বহু দেশ। বিকৃত ধর্মীয় আদর্শ থেকে উদ্ভূত এই জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে বিশ্বময় শক্তি প্রয়োগের পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন সকলেই স্বীকার করছেন যে, শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় দলিল ভিত্তিক নির্ভুল আদর্শ দিয়ে জঙ্গিবাদ যে ভুল পথ তা প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মবিশ্বাসী সাধারণ মানুষের ঈমানকে ভুল খাতে প্রবাহিত করে দেশে সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটাতেই থাকবে। ফলে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকেও ইরাক-সিরিয়ার মতো করুণ পরিণতি বরণ করতে হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক আদর্শের। অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন এবং এই সঠিক আদর্শটি হেযবুত তওহীদের কাছে আছে বলেও বক্তৃতায় উঠে আসে।
প্রধান বক্তা কোর’আন-হাদীস ও রসুলাল্লাহ (সা.) এর পবিত্র জীবনী থেকে বিভিন্ন ঘটনা উপস্থাপন করে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করে দেন যে জঙ্গিবাদ আসলে ইসলাম থেকে সৃষ্টি হয়নি, বরং ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য, মুসলিমদেরকে বিনাশ করে দেওয়ার জন্যই জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে তার সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে প্রচলিত ভুল ব্যাখ্যাগুলোকে প্রত্যাক্ষান করেন। তিনি ইসলামের প্রকৃত আকীদা, ঈমান ও আমল সম্পর্কে পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রকৃত মো’মেন হলেন সেই ব্যক্তি যিনি আল্লাহর হুকুমের পরিপন্থী অর্থাৎ যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার জীবন-সম্পদকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করেন। সুতরাং স্বার্থপরের নামাজ নেই, স্বার্থপরের সমাজ নেই, স্বার্থপরের জান্নাত নেই। বর্তমানে আমাদের দেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে, দেশ যে সঙ্কটে পতিত হয়েছে তা থেকে দেশকে বাঁচানো আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ও সামাজিক কর্তব্য।