জাতীয়
রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য জরুরি: রাষ্ট্রপতি
পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগের অংশ হিসেবে সোমবার বঙ্গভবনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের
বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় বাসদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
৩০ মিনিটের এ আলোচনায় বাসদ সার্চ কমিটি ও নতুন ইসি গঠনের বিষয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করে।
এসব প্রস্তাবে রয়েছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন, বর্তমান ৫ সদস্যের বদলে ৯ সদস্যের ইসি গঠন, জাতীয় বাজেটে ইসির জন্য পৃথক বরাদ্দ দান এবং যারা দেশের সংবিধানের চার মূলনীতিতে বিশ্বাসী তাদেরই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ইসি গঠন বিষয়ে গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়ার জন্য বাসদের প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান।
পরে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (আম্বিয়া) সঙ্গে আলোচনা করেন। ৩৫ মিনিটের আলোচনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সার্চ কমিটি ও নতুন ইসি গঠন বিষয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাব দেয়।
তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
তাদের প্রস্তাবে রয়েছে ইসির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশনাদের নিয়োগ দান এবং প্রশাসনিক অভিজ্ঞ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের দ্বারা ইসি গঠন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ইসির ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো একটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাবসমূহ একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতি গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনা শুরুর মাধ্যমে ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচনা করেন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।